বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব পদ পূর্নদখলকে কেন্দ্র সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মো. জিয়াউর রহমান নামে এক মুসল্লি বাদী হয়ে পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার এ মামলা দায়ের করেন।
এতে সাবেক খতিব রুহুল আমিন ও তার ছেলে ওসামা আমিনসহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ৫০০-৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে সাবেক খতিবের ছেলের বিরুদ্ধে ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ করা হয়।
এজহারে বলা হয়, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ইসলামী ফাউন্ডেশনের ইমাম আবু সালেহ্ পাটোয়ারী খুতবা দিচ্ছিলেন। এসময় সাবেক খতিব রুহুল আমিনসহ অন্য আসামিরা তাকে টেনে-হিঁচড়ে মিম্বর থেকে নামিয়ে ফেলে, এবং মাইক কেড়ে নেয়। এসময় উপস্থিত মুসল্লিরা তাদেরকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করলে – রুহুল আমিনের নির্দেশে তার ছেলে ওসামা আমিনসহ অন্য আসামিরা বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে লোহার রড, হাতুড়ি, লাঠি সোটা ও ইট পাটকেল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে সাধারণ মুসল্লিদের মারধর করে। এতে প্রায় ৫০/৬০ জন মুসল্লি গুরুতর জখম হন।
"বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে রুহুল আমিনের নির্দেশে তার ছেলে ওসামা আমিন লোহার রড দিয়ে আঘাত করে এবং তার কাছ থাকা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। লোহার রডের আঘাতে বাদীর ডান চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয়" – আরো বলা হয়েছে এজাহারে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, "আসামীরা মসজিদের এসি, ফ্যান, দরজা, জানালা, গ্লাস ভাংচুরের মাধ্যমে প্রায় ৫০ লাখ টাকার সাধন করেছে। বাদীর ধারণা, ইসলামী ফাউন্ডেশনের পরিচালক আবু সাঈদের ইন্ধনে আসামিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বায়তুল মোকাররমের তৎকালীন খতিব রুহুল আমিন পালিয়ে যান। পরবর্তীতে ওয়ালিউর রহমানকে নতুন খতিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে সাবেক খতিব রুহুল আমিন তার অনুসারীরা খতিব পদ পুনর্দখল করতে চাইলে–- বর্তমান খতিবের অনুসারীদের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।