রেসিডেনসিয়াল শিক্ষার্থী ফারহান হত্যায় হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
বৈষম্যবিরাধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহান ফাইয়াজ হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফারহানের বাবা শহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ অভিযোগ দাখিল করেন বলে টিবিএসকে জানান তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা আতাউর রহমান।
গণহত্যার অভিযোগে শেখ হসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হওয়া ১১তম মামলা এটি।
এই মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন: ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান, পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমারসহ ৩৪ জন।
আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ফারহান ফাইয়াজ নিহত হয়।
ফারহান ফাইয়াজ ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ২০২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার।
ধানমন্ডিতে মা-বাবার সঙ্গে থাকত ফাইয়াজ। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরপা গ্রামে।
ফাইয়াজের বাবা শহিদুল ইসলাম দিশান প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে কর্মরত। মা ফারহানা দিবা গৃহিণী। ছোট বোন ফারিন ইসলাম উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় ১৮ জুলাই বিকেল সাড়ে তিনটার পর থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল। সে সময় আহত হয় ফারহান ফাইয়াজ।
সেখান থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে রাবার বুলেটের ক্ষত ছিল।