ফেনীতে হাসিনা, কাদের, কামালসহ তিন হাজার জনের বিরুদ্ধে ৮ হত্যামামলা
ফেনীতে ছাত্র-জনতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত আটটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে মোট আসামি করা হয়েছে ৩ হাজার ৩৭ জনকে। ফেনী মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে সর্বশেষ মামলাটি দায়ের হয়েছে।
এর মধ্যে একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিটি মামলায় ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীকে আসামি করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত ৫ আগস্ট দুপুরে শহরের জেলরোডে স্বামী জাফর আহম্মদকে (৫৩) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ করে মামলার বাদী হন আছিয়া বেগম(৫০)। ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে এক নম্বর আসামি করে ২০৫ জনের নামোল্লেখ করে আরও ১৫০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করা হয়। নিহত জাফর আহম্মদ পেশায় ব্যাটারিচালিত রিকশা টমটম চালক ছিলেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুরের মোমিন টেইলার বাড়ি।
একইসূত্র জানায়, গত ৪ আগস্ট মহিপালে নির্বিচারে গুলিতে মাহবুবুল হাসান মাসুম(২৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে একই থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান।
এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৬২ জনের নামোল্লেখ করে আরও ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
ফেনী থানা সূত্রে আরও জানা গেছে, শিহাব হত্যা মামলায় ৩০১ জন, শ্রাবণ হত্যা মামলায় ৩০৫ জন, মাসুদ হত্যা মামলায় ৩৩৪ জন, সবুজ হত্যা মামলায় ৪৬৫ জন, সাকিব হত্যা মামলায় ৩৭১ জন এবং অপর একটি হত্যা মামলায় ২৪৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথমদিন ফেনীর মহিপালে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি করে অস্ত্রধারীরা। এতে ৯ জন নিহতের তথ্য পাওয়া গেছে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি এবং সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, অস্ত্রধারীরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।