চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের সামান্যতম ছাড় দেওয়া হবে না: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, 'যারা চিকিৎসকদের ওপর হামলা করেছে তাদের সামান্যতম ছাড় দেওয়া হবে না।'
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, 'কথায় কথায় চিকিৎসকদের ওপর চাড়াও হওয়া কাম্য নয়। ... এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুটি তদন্ত কমিটি করেছি। এটি হিমাগারে যাবার মতো তদন্ত কমিটি নয়। অন্তত তিনটি কর্মদিবসে রিপোর্ট দেওয়া হবে।'
নূরজাহান বেগম বলেন, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসকদের ওপর হামলায় দোষীদের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আইনি ব্যবস্থা নিতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। তবে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে চিকিৎসকদেরও উচিত শাটডাউন কর্মসূচি উঠিয়ে নেওয়া।
"ঢাকা মেডিকেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা খুবই পীড়াদায়ক। ডাক্তাররা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বড় আঘাত হওয়ায় বাঁচানো যায়নি। গাফিলতি হলে সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হযেছিল। কিন্তু তা না শুনে ডাক্তারদের ওপর হাত তোলা হয়েছে। এটা ঠিক হয়নি।"
তিনি আরও বলেন, "ঢাকা মেডিকেলের পর আরও দুটি জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো খুবই দুঃখজনক। ডাক্তাররা তাদের যথাসাধ্য দায়িত্ব পালন করেছেন। এভাবে কথায় কথায় ডাক্তারদের গায়ে হাত তোলা যাবে না। আন্দোলনরত ডাক্তাররা আমাদের সন্তানের মতো। তাদের প্রতি আমি আহ্বান জানাবে শাটডাউন তুলে নাও। মানুষের সেবায় এসেছো, মানুষের সেবায় ফিরে যাও।
গতকাল শনিবার সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হট্টগোল হয়। সে সময় এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে চিকিৎসকদের 'কমপ্লিট শাটডাউন' ঘোষণার পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
আজ বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সভাকক্ষে এই আলোচনা শুরু হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা চালু করতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মো. সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান।