আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট খারিজ
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া।
ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে গত ১৯ আগস্ট হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।
মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি করেন। এই রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে, সেগুলোর নাম পরিবর্তন চাওয়া হয়।
এছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ বছর চাওয়া হয়েছে।
সেইসঙ্গে, বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলিও চাওয়া হয়েছে।
এদিকে, ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিটের আদেশ দেওয়ার আগে হাইকোর্ট রিটকারীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, 'অন্তর্বর্তী সরকার সব অপরাধের বিচার করবে। সব অপরাধের বিচার হবে।'
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রিটকারীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'ছাত্র-জনতাকে যারা গুলির নির্দেশ দিয়েছে, গুলি করেছে- তাদের বিচারের বিষয়ে সরকার খুব আন্তরিক। গুলির নির্দেশ দিয়েছেন ব্যক্তি। অপরাধ ব্যক্তি করেছেন, দল নয়।'
এ সময় রিটকারী পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে আদেশ চাইলে হাইকোর্ট বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এরই মধ্যে সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে কথা বলেছেন। সরকার এ বিষয়ে খুব আন্তরিক। সব অপরাধের বিচার হবে।'
এরপর আদালত ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেন।