প্রশাসন ক্যাডারের ‘আধিপত্য’ থেকে বেরোতে চান অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা
ক্যাডার সার্ভিসে বর্তমানে 'প্রশাসন ক্যাডারের যে আধিপত্য' তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে নিজেদের যোগ্যতার মূল্যায়নের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সেবা দেওয়ার সুযোগ চান অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
এছাড়া উপসচিব ও যুগ্মসচিব পর্যায়ে মেধাভিত্তিক পদোন্নতি ও পদোন্নতিতে বৈষম্য নিরসনের দাবিও করেছেন তারা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে 'আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ' নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব দাবি করা হয়।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন সংগঠনের সদস্য ও জেনারেল এডুকেশন ক্যাডার (২৪তম ব্যাচ)-এর কর্মকর্তা ফারহানা আক্তার।
ফারহানা আক্তার বলেন, 'বর্তমানে দেশে ২৬টি ক্যাডার রয়েছে। এর মধ্যে শুধু প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকিরা বৈষম্যের শিকার।'
উপসচিব পদ থেকে শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি পদ প্রশাসন ক্যাডারের জন্য সংরক্ষিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এ অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। যারা যে ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত, তারা যেন সেখানে গুরুত্ব পান তা দেখতে হবে।'
উপসচিব ও যুগ্মসচিব পদে মেধারভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগের দাবি জানান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কর্মকর্তারা।
শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, 'সব জায়গায় প্রশাসন ক্যাডার যেভাবে দখল করে রেখেছেন এবং অন্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা যে-সব জায়গায় বৈষম্যের শিকার, সেখানে সমতা আনার দাবি করছি।'
এ সময় উদাহরণ তুলে ধরে বলা হয়, 'একজন ডাক্তার ছাড়া স্বাস্থ্য বিষয়ক কাজগুলো ভালো বুঝতে পারার কথা নয়, কিন্তু সেখানেও প্রসাশন ক্যাডার। যেখানে সমবায়ের একজন ক্যাডার কয়েক বছর চাকরি করে দক্ষতা অর্জন করছেন, সেখানেও প্রশাসন ক্যাডার গিয়ে সব সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন।
এতে করে আসলে কোনো কাজেরই সঠিক ফল পাওয়া যাচ্ছে না, বরং নানা সংকট তৈরি হচ্ছে।'
আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ জানিয়েছে, তাদের দাবির সঙ্গে প্রশাসন ক্যাডার বাদে বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারাই একমত পোষণ করেছেন।
এছাড়া ক্যাডার যার, মন্ত্রণালয় তার; সকল ক্যাডারের মধ্যে সমতা আনা; পদোন্নতিতে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন; স্কেল আপগ্রেডেশন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনি দায়িত্ব প্রদানে জ্যেষ্ঠতা রক্ষা; উচ্চতর গবেষণা; শিক্ষা ও শিক্ষাবৃত্তির ক্ষেত্রে সমতা আনাসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।