কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, আশ্রয় কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরছে মানুষ
কুমিল্লায় গত দুই-তিনদিন ধরে দ্রুত বন্যার পানি কমছে। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্র থেকে এরই মধ্যে মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। বিশেষ করে কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। তবে কিছু কিছু এলাকার মানুষ এখনো পানিবন্দি রয়েছেন। ঘরে ফিরে যেতে তাদের আরও তিন থেকে পাঁচদিন সময় লাগতে পারে।
আজ শুক্রবার নাঙ্গলকোটের জোড্ডা বাজার পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও আলিম মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, এই দুই আশ্রয় কেন্দ্রে ৫০জনের মতো মানুষ রয়েছেন। দুইদিন আগেও সেখানে চার শতাধিক মানুষ ছিলেন। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ৩৫০ মানুষ ঘরে ফিরেছেন। জোড্ডার উত্তরের সব আশ্রয় কেন্দ্র প্রায় খালি হয়ে গেছে। দক্ষিণের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে মানুষজন কমতে শুরু করেছে।
নাঙ্গলকোটের জোড্ডা গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক আনিসুল হক বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে প্রতিদিন চারশ মানুষের খাবার দিতে হতো। শুক্রবার ৪৮ জনকে খাবার দিয়েছি।
এদিকে কুমিল্লার লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম, বরুড়ার উঁচু এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোও ধীরে ধীরে খালি হতে শুরু করেছে। গোমতী নদীর তীরবর্তী উপজেলা বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার ও মুরাদনগরেও বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, নিচু এলাকায় যাদের ঘরবাড়ি, তারা আশ্রয় কেন্দ্রে রয়ে গেছেন। আর যাদের ঘরবাড়ি উঁচু এলাকায়, তারা আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।