ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার চান না ড. ইউনূস
ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রত্যাহার চান না অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আগামী ২ সেপ্টেস্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আজ (বৃহস্পতিবার) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে আপিলের ওপর আংশিক শুনানি শেষে এই দিন ধার্য করেন।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, "ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি দুদক ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী গত ১১ আগস্ট প্রত্যাহার করে নেয়।"
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানিতে বলেন, "প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুদকের পক্ষ থেকে ড. ইউনূসের মামলা তুলে নেয়া হয়েছে। এটা উনি (প্রধান উপদেষ্টা) চাননা। উনি আইনসম্মত ভাবেই এটা করতে চান।"
এ সময় দুদক আইনজীবী ফজলুল হক বলেন, "আইন অনুযায়ী মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়নি।"
এ সময় বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, "এটা কি তবে জুডিশিয়াল অ্যানার্কি।"
এর আগে হাইকোর্ট ২৪ জুলাই ড. ইউনূসের দুর্নীতি মামলা চলবে বলে যে আদেশ দিয়েছিলো সেই আদেশের কপি চান। কিন্তু সেটি দিতে না পারায় সোমবার ফের শুনানির দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
এর আগে গত ২৪ জুলাই গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এক বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন আদালত।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকতার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন ড. ইউনূস।
এর আগে মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস। আবেদনে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়। গত ১২ জুন মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।