নিষেধাজ্ঞার মাঝেও রাশিয়ার অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে
ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার দীর্ঘদিন ধরেই চলছে যুদ্ধ। তবে এরই মাঝে বিভিন্ন সেক্টরে মস্কোর অর্থনীতি বেশ ভালো উন্নতি করেছে। এমনকি দেশটির বেকারত্বের হারও রেকর্ড পরিমাণ নীচে রয়েছে।
গতকাল (বুধবার) প্রকাশিত রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে। যদিও যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে পশ্চিমা দেশগুলো নানা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এক্ষেত্রে মিলিটারি প্রোডাকশন বেড়ে যাওয়ায় গত জুলাই মাসে রাশিয়ার ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন বেড়েছে ৩.৩ ভাগ। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩.১ ভাগ।
এছাড়াও দেশটিতে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে জিডিপি বেড়েছে ৪.৬ ভাগ। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ১.৮ ভাগ।
কর্মকর্তারা এই প্রবৃদ্ধির জন্য বেসরকারী খাতসহ শক্তিশালী মূলধন বিনিয়োগকে দায়ী করেছেন। যা বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ১৪.৫ ভাগ বৃদ্ধির পর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বছরে ৮.৩ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে ৯২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
রাশিয়ার অর্থ প্রতিমন্ত্রী পোলিনা ক্রুচকোভা বলেন, "বছরের প্রথমার্ধে এই ধরনের উচ্চ ফলাফলের প্রেক্ষিতে আমরা এপ্রিলে প্রকাশিত অর্থনৈতিক পূর্বাভাসে প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছিলাম পুরো বছরই আরও উচ্চ প্রবৃদ্ধি হবে।"
পশ্চিমা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও চীনের মতো রাশিয়ার প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের সাথে আন্তর্জাতিক অর্থ প্রদানের সমস্যা থাকায় বছরের প্রথমার্ধে সামগ্রিক আমদানি ৯ ভাগ কমে যায়। তবুও সার্বিকভাবে অর্থনীতি স্থির রয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ক্রমাগত শ্রমিকের ঘাটতি, মজুরি বৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য দেশটির অর্থনীতির অনেকটা টালমাটাল অবস্থায় ছিল। এটি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কঠোর মুদ্রানীতি বজায় রাখার এবং মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ায় মজুরি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ইউক্রেনে যুদ্ধরত চুক্তিভিত্তিক সৈন্যদের অর্থ প্রদান। যা অর্থনীতিতে একটি নতুন মাপকাঠিতে পরিণত হয়েছে। কেননা দ্রুত বর্ধনশীল খাতের শ্রমিকরা মালিকদের কাছে এখন একই রকম বেতন দাবি করছে৷
অনুবাদ: মোঃ রাফিজ খান