বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সংস্কার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে প্রস্তুত আইএমএফ
উন্নয়ন ও সংস্কার লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে আশ্বস্ত করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
গত ১৯ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে পাঠানো এক চিঠিতে বহুপাক্ষিক ঋণদাতা সংস্থাটির এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন এ কথা বলেছেন।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার সরকার আইএমএফের সঙ্গে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি করে, যার আওতায় ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে ঋণের তৃতীয় কিস্তি দিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থাটি।
আগামী ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তি ছাড় করার আগে অক্টোবরে ঋণের শর্ত পূরণের অগ্রগতি যাচাই করতে রিভিউ মিশন পাঠাবে আইএমএফ।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ঋণের আকার বাড়াতে চায়। এ সরকার ঋণের পরিমাণ আরও ৩ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে মোট ঋণ ৭.৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে বলে জানা গেছে।
চিঠিতে কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেছেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত চলমান সংস্থাটির ঋণ কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে তারা বাংলাদেশের সংস্কার এজেন্ডা, বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি, ব্যয় যৌক্তিককরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে।
আইএমএফ ভবিষ্যতে এই অংশীদারত্বকে অব্যাহত ও দৃঢ় রাখতে আগ্রহী বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছে আইএমএফ।
ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের ক্ষেত্রে নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এতে ছাড় দেয় সংস্থাটি।