জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা ইসলামী ঐক্য জোটের
ইসলামী ঐক্য জোট আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটের শরীক ছিল এ রাজনৈতিক দলটি। তবে দলটির নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না থাকায় তারা সমভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীকে প্রার্থী দিতে চায়।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনকালীন পরিবেশ পরিস্থিতি, ঘোষিত তফসিল এবং বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পদ্ধতি ও পরিকল্পনা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
মিছবাহুর বলেন, "আমাদের দল নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এখনো নিবন্ধিত নয়। এজন্য আমাদের দলীয় কোনো প্রতীক নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন মহাজোট প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমাদের দল মহাজোটের অন্যতম অংশীদার ছিল। তাই আমরা মহাজোটের বন্ধু দলের প্রতীকে নির্বাচন করবো। এর আগে আমরা কোন নির্বাচনে অংশগ্রহন করিনি।"
তিনি জানান, তারা ৪০ থেকে ৪৫ আসনে প্রার্থী দিতে চান, এরমধ্যে তিনি নিজে ঢাকা-৫ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
তিনি আরও বলেন, সরকারের দোষ-ত্রুটির সমালোচনা করতে আমরা কখনো ছাড় দেই না। সব দলের সাথে আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানের মধ্যে থেকে নির্বাচনের হওয়ার তারিখ যতটা সম্ভব যেন পেছানো হয়। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দিতামূলক হবে না।
বিএনপির সঙ্গে যেন সংলাপের আয়োজন করা হয় এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্যেগ নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, "এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও উদার মনের পরিচয় দিতে হবে। বিএনপির নির্বচনে আসা উচিৎ। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে যত ভালো নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক না কেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দিতামূলক হবে না। আওয়ামী লীগের প্রতীকের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতীক ছাড়া শক্ত প্রতিপক্ষ নেই।
তিনি বলেন, এখানে শক্তির ভারসাম্য দরকার। আজ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যারাই এ নির্বাচনে যাই, এ নির্বাচন একপেশে হবে এটাতো সত্য কথা। কিন্তু, তবু নির্বাচনে যেতে হবে। গণতন্ত্রের ধারা অব্যহত রাখতে নির্বাচন হোক এটা আমরা চাই। নির্বাচনে গিয়ে মাঠে থেকে কথা বলতে হবে।