চট্টগ্রামে বিএনপির হরতালে বাসে আগুন, নগরীতে যান চলাচল কম
চট্টগ্রামে বিএনপির ডাকা হরতালের শুরুতে পতেঙ্গা এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ নভেম্বর) ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে পতেঙ্গা থানার কাটগড়ের গুমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পতেঙ্গা থানা পুলিশ জানিয়েছে, বাসটি পোশাক শ্রমিকদের বহন করার জন্য ওই এলাকায় অবস্থান করছিল।
পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফতাব হোসেন জানান, "বাসের চালক রাস্তার পাশে বাসটি দাঁড় করিয়ে ফজর নামাজ পড়তে মসজিদে যান। এসময় সিএনজি অটোরিকশায় এসে একদল দূর্বৃত্ত বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ওই সময় কয়েকজন পোশাক শ্রমিক বাসটিতে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন।"
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিকে, দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের ডাকা দুইদিনের অবরোধে নগরীতে স্বাভাবিকের তুলনায় কম গণপরিবহন চলাচল করছে। নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে করে দেখা গেছে– রিকশা, সিএনজি অটোরিকশা, টেম্পু, ভাড়ায় চালিত রাইড, মিনিবাস চলাচল করলেও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় সংখ্যা ছিল কম। অফিসগামী যাত্রীরদের বাড়তি ভাড়া দিয়ে অফিসের উদ্দেশ্যে যেতে দেখা গেছে।
জিইসি মোডে অফিসগামী যাত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, "সড়কে গণপরিবহনের উপস্থিতি কম দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন বাসে করে আগ্রাবাদের অফিসে যাই। আজ রাইড শেয়ারিং মোটর সাইকেলে করে অফিসে যেতে হচ্ছে।"
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের তথ্য মতে, চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন রুটে ১,২০০ মিনি বাস; ১,৬০০ হিউম্যান হলার এবং ২০০ টেম্পু চলাচল করে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের পর একদিনের হরতাল ও তিন দিনের অবরোধ শেষে আজ থেকে আবারও দুইদিনের অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এরমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়ার প্রতিবাদে আজ রোববার (৫ নভেম্বর) চট্টগ্রামে হরতাল পালন করছে বিএনপি। এই হরতালে চট্টগ্রাম মহানগর জায়ামাতও সমর্থন দিয়েছে।