সাগরে ইলিশ ধরতে বেরিয়ে পড়েছে জেলেরা

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সাগরে মাছ ধরার উপর ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুর থেকে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে সাগরে বেরিয়ে পড়েন জেলেরা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ইলিশ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়।
ইলিশ ধরা নিয়ে কক্সবাজারের জেলে পল্লীগুলোতে চলছে উৎসবের আমেজ। জেলে, ট্রলার মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়িদের আশা- জালে ধরা পড়বে ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ। এতে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটস্থ বাঁকখালী নদীর মোহনায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজারের জেলে পল্লীগুলোতে চলছে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি। জাল, চাল-ডাল-তেলসহ নানা উপকরণ এবং জ্বালানী তেল নিয়ে জেলে ও ট্রলার মালিকরা প্রস্তুত।
মধ্যরাতের পর এসব ট্রলার যাত্রা শুরু করার কথা থাকলেও দুপুরের মধ্যেই কেন যাত্রা শুরু করলেন জানতে চাইলে জেলেরা বলেন, গভীর সাগরে পৌঁছতেই মধ্যরাত হয়ে যাবে। মূলত তখন থেকেই জাল ফেলে মাছ ধরা শুরু করবেন।

ট্রলার মালিক জয়নাল আবেদিন বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় গত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর তারা কাঙ্খিত পরিমাণে ইলিশসহ অন্য প্রজাতির মাছ ধরতে পারেননি। এবার সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশা তারা বুক বেঁধেছেন।
কক্সবাজার দর উপজেলার জৈষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা তারাপদ চৌহান বলেন, "মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন নিবন্ধিত জেলেদের সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জেলার আর কিছু জেলে অনিবন্ধিত রয়েছে। ভবিষ্যতে এসব জেলেদেরকে নিবন্ধনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।"
তারা আশা করছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় চলতি মৌসুমে ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ ধরার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, কক্সবাজার জেলায় বর্তমানে জেলের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। এরমধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২২ সহস্রাধিক। আর নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ট্রলারের সংখ্যা অন্তত ৬ হাজার।
কক্সবাজার মৎস্য অবতারণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. বদরুদ্দোজা জানান, সফলভাবে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের ফলে সাগরে জেলেদের জালে বেশ ভালো পরিমাণে ইলিশসহ নানা প্রজাতির মাছ ধরা পড়বে।