কিছু বিদেশি সংস্থার উচিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রাজনৈতিক দলগুলোকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, 'বাংলাদেশে কিছু বিদেশি সংস্থার উচিত রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা। তারা একটা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান করবেন এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে রাজনৈতিক অবস্থান নেবেন। তারা একটা দল করুক, দেখা যাক জনগণের কাছে তারা কত ভোট পায়।'
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত হাস আশা প্রকাশ করেন, উত্তেজনা কমাতে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য অগ্রসর হওয়ার পথ খুঁজে বের করতে সব পক্ষ শর্তহীন 'সংলাপে' বসবে।
ইসি কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কোনো পক্ষের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের আরও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, 'এ কথা ভুলে যান। এটা কোনো ব্যাপার না। আমাদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির 'বর্বরতা ও ধ্বংসযজ্ঞ' তাদের দলের জন্য লজ্জাজনক এবং পুলিশ হাসপাতাল ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার সঙ্গে জড়িত বিএনপি নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা উচিত।
তিনি বলেন, 'এটা লজ্জার বিষয়, দলের সদস্যদের করা এসব অপকর্মের জন্য তাদের (বিএনপি) প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়া উচিত। আমি বিএনপির কাছ থেকে আশা করব, তারা যেন তাদের বহিষ্কার করে।
তিনি বলেন, শান্তি ও স্থিতিশীলতার কারণে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
ঢাকা চেম্বার অভ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির হরতাল ও অবরোধে সারা দেশে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বা প্রতিদিন জিডিপির শূন্য দশমিক ২ শতাংশ খরচ হয়েছে।
মোমেন সোমবার কূটনীতিকদের বলেন, ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা এবং ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ তৈরি করেছিল। বিশেষ করে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় ব্যাপক সহিংসতা ও ভোট কারচুপির মতো ঘটনা ঘটিয়েছিল।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা লুটপাট, ধর্ষণ ও খুন করেছে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টার্গেট করে।