বিভিন্ন মামলায় জড়িতদেরই তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

রাতে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিভিন্ন মামলায় আগে থেকে যারা জড়িত তাদের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'ভাঙচুর, অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্র ও খুনের মামলায় আগে থেকে যারা জড়িত, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের গ্রেপ্তার করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নতুন করে গ্রেপ্তারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।'
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে তর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন কাদের।
প্রসঙ্গত, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাকে গুলশানের বাসভবন থেকে আটক করা হয় বলে জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এছাড়াও জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদকে তার শেওড়াপাড়ার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আটক করা হয় বলে অভিযোগ করেন বিএনপির চেয়ারপার্সন প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
এদিকে নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সংবিধানের সব নিয়ম মেনে যে নির্বাচন চলছে সে নির্বাচনে কেউ যদি অংশ না নেয় সেটার জন্য সে নির্বাচন বন্ধ হবে না। বহুদল আছে যারা নির্বাচনে অংশ নিবে। দুয়েকটি দল অংশ না নিলে সে নির্বাচন কেন গ্রহণযোগ্য হবে না? নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক অধিকার। কেউ যদি নিজের অধিকার প্রয়োগ না করে সেটা তাদের ব্যাপার।'
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, '৭৫ এ খন্দকার মোশতাক ও মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিলেন, ৩ নভেম্বর জেল হত্যা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা-এ সমুদয় হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ও আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা। যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল সে ঘৃণ্য রাজনীতি থেকে তাদের উত্তরসূরিরা এখনো সরে দাঁড়ায়নি। সে ধারাবাহিকতা এখনো বহন করে চলছে জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি।'
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'যত দিন না শেখ রাসেলের মতো অবুঝ শিশুর জন্য এই দেশ নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে তুলতে পারব তত দিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।'
এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ শেখ রাসেলের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বনানী কবরস্থান মসজিদে শেখ রাসেলসহ পঁচাত্তরে ১৫ আগস্টে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এতে অংশ নেন দলীয় নেতা–কর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।