বিএনপি নেতা এ্যানির চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, এ্যানিকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদনের পর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রাশিদুল আলম এ আদেশ দেন।
বুধবার (১১ অক্টোবর) ভোরে বিএনপির প্রচার সম্পাদককে তার ধানমন্ডির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পারভেজ ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'গত রাতে এ্যানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে, পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, এ্যানির বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় তিনটি মামলা রয়েছে এবং তিনটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি ঢাকার আদালত এবং দুটি লক্ষ্মীপুর আদালত জারি করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদ বলেন, 'যত বড় নেতাই হোক না কেন আইন সবার জন্য সমান।'
এ পুলিশ কর্মকর্তা বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'লক্ষ্মীপুর থানায় এ্যানির বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা আরেকটি মামলার আসামি তিনি। এ তিনটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।'
তিনি জামিন পাননি বা কোনো মামলায় আদালতে হাজিরা দেননি বলে জানান হারুন–অর–রশীদ।
তিনি আরও জানান, পরোয়ানা সম্পর্কে একাধিকবার তাকে জানানোর পরও তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর আগে বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন জানান, রাত দেড়টার দিকে পুলিশ বিএনপি নেতার বাড়ির চারপাশে অবস্থান নেয় এবং তাকে থানায় যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
তিনি আরও বলেন, 'এ্যানিকে এরপর রাত ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে হেফাজতে নিয়ে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।'
এ্যানি দাবি করেন, তাকে বেআইনিভাবে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আটকের আগে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, 'পুলিশ দরজায় লাথি মারছে, হুমকি দিচ্ছে দরজা না খুললে দরজা ভেঙে ঢুকে আমাকে গুলি করবে। আমি সব মামলায় জামিনে আছি বর্তমানে, তারপরও তারা বেআইনিভাবে আমাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।'