১ কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে মাসে ২ কেজি করে পেঁয়াজ দেওয়া হবে টিসিবির মাধ্যমে

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-এর (টিসিবি) কার্ডধারী দেশের এক কোটি দরিদ্র পরিবারকে প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে দুই কেজি করে পেঁয়াজ দেবে সরকার। চলতি মাস থেকেই চাল, ডাল ও তেলের সঙ্গে পেঁয়াজ পাবে পরিবারগুলো।
কত দামে পরিবারগুলোকে পেঁয়াজ দেওয়া হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে টিসিবি থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩০-৩৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে আগামী সপ্তাহ থেকেই এক কোটি পরিবারকে পেঁয়াজ দেওয়া শুরু হবে।
এর বাইরে ঢাকার খোলাবাজারে ট্রাকের মাধ্যমেও পেঁয়াজ বিক্রি করার পরিকল্পনা আছে টিসিবির। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'টিসিবির কার্ডধারী এক কোটি পরিবারকে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে এ মাস থেকেই দুই কেজি করে পেঁয়াজ দেওয়া হবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই এই পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হতে পারে।'
তিনি জানান, এখন টিসিবির কাছে প্রায় ২৫০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ আছে। এই পেঁয়াজ থেকেই বিতরণ শুরু হবে। টিসিবি ভারত থেকে আরও পেঁয়াজ আমদানি করছে।
পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু ওই দামে কোথাও পেঁয়াজ বিক্রি হয়নি। বরং গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছুঁয়েছে।
দেশে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকায় সরকার গত ৫ জুন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়। আগস্টের শেষে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় সরকার তখন ভারতের বাইরে আরও ৯টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়। ওই ৯ দেশ ছিল চীন, মিসর, পাকিস্তান, কাতার, তুরস্ক, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে ২০ আগস্ট ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর আমদানি কমে যায়।