এই সরকারের অধীনে কোনো ধরনের নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: মির্জা ফখরুল
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, "শুধু খালেদা জিয়াকে এ অবস্থায় (অসুস্থ) রেখে নয়, হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো ধরনের নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতন হবে।"
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর সমস্ত দায়দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে- এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "আইনের দোহাই দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার সুযোগ নেই, তাকে বিদেশে চিকিৎসা না দিতে গেলে পরিণতি ভালো হবে না।"
১/১১ সরকারের সময়ে জরুরি আইনের মধ্যে শেখ হাসিনা একজন ওয়ারেন্টের আসামি হিসেবেও বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছে, এখন তারা খালেদা জিয়ার ব্যাপারে আইনের ভুল ব্যাখ্যা করছে বলেও মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, "আমরা গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করবো, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই আন্দোলন করবো- এরপরও যদি সরকার বাধা দেয়,তাহলেও আমরা গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।"
খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে দেরি হলে সরকারকে উচ্চ মূল্য দিতে হবে: আমীর খসরু
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে আবারো দ্রুত মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "আর যদি তার মুক্তি দেরি হয়, তার চিকিৎসা দেরি হয়- এই ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকার ও রেজিমকে উচ্চমূল্য দিয়ে বিদায় দিতে হবে।"
সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা উল্লেখ করে খসরু বলেন, "গণতান্ত্রিক রাজনীতি ধ্বংস করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে। তাদের ভয় এই জনপ্রিয় নেত্রী যদি বাইরে থাকে, তাদের অবৈধ সরকার টিকে থাকার কোনো সুযোগ নেই। যে কারণে বেগম জিয়াকে শুধু জেলে দেয়নি, তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জনগণ জেগে উঠেছে। অবশ্যই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাজবাড়ির গোয়ালন্দ মোড়ে রোডমার্চপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি এই আহ্বান জানান।
সরকার হটানোর আন্দোলনে রাজপথের কর্মসূচির সর্বাত্মক প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "ফরিদপুরের মানুষ বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারের জন্য রাস্তায় লড়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনে যে ডাক আসবে সেখানে সবাইকে রাস্তায় থাকতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, ফয়সালা কোথায় হবে? রাজপথে। রাস্তায় আজকে সেজন্য লক্ষ জনতা নেমেছে। ফয়সালা করে বাড়ি ফিরে যাবো।"
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও খালেদা জিয়ার মুক্তির 'একদফা'র দাবিতে এই রোডমার্চ অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজবাড়ির গোয়ালন্দ মোড় থেকে এই রোডমার্চ শুরু হয়। এটি রাজবাড়ী হয়ে মাদারীপুরে গিয়ে শেষ হয়।