যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি জনগণের স্বাধীনভাবে নেতা নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ যেন স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে, যুক্তরাষ্ট্র সেটি নিশ্চিত করতে চায়।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, "বাংলাদেশিরা যা চায়, যুক্তরাষ্ট্রও তাই চায়- বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যম সবাই এই ইচ্ছাই প্রকাশ করেছে যেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়; যুক্তরাষ্ট্রেরও এটাই চাওয়া।"
"আমরা যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছি, তা এই উদ্দেশ্য এবং বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে", যোগ করেন তিনি।
মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কোন দলকে সমর্থন করে না এবং নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে চায় না; বাংলাদেশের জনগণ যেন স্বাধীনভাবে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে, শুধু সেদিকটাই নিশ্চিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
গত ২২ সেপ্টেম্বর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই নীতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন, তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না।