জীবন-সম্পদ রক্ষা ছাড়া লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রদর্শনের সুযোগ নেই: চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার
জীবন এবং সম্পদ রক্ষার্থে ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রদর্শনের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ। বুধবার বিকেলে সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরাঘাটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই তিনি এই মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আয়োজিত গত সোমবার (২২ মে) বিক্ষোভ মিছিলে অস্ত্র হাতে নেতৃত্ব দিয়ে সমালোচিত হয়েছিলেন বাঁশখালীর সংসদ সদস্য (এমপি) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, 'একটি মিছিলে এমপি অস্ত্র প্রদর্শন করেছেন। আমাদের আইনে আছে জীবন এবং সম্পদ রক্ষার্থে যদি কোনো ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে আপনি লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রদর্শন করতে পারেন। এছাড়া অস্ত্র প্রদর্শনের সুযোগ নেই।'
'ওনার এ বিষয়টা কেন ও কী জন্য প্রদর্শন করলো সে বিষয়ে উনার সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। পিস্তলটি বৈধ নাকি অবৈধ এবং খেলনা নাকি- আমার ওসি এবং জেলা পুলিশের বিশেষ শাখাকে আমি একটা অনুসন্ধান প্রতিবেদন তিনদিনের মধ্যে দিতে বলেছি । আশা করি তা বৃহস্পতিবার পেয়ে যাব। বাকি যেটুকু আছে সেটা তো আপনারা দেখেছেন। নতুন করে বলার কিছু নেই', বলেন এস এম শফিউল্লাহ।
গত সোমবার বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলের একটি ভিডিও 'মোস্তাফিজুর রহমান এমপি' নামের একটি ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা হয়। তাতে দেখা যায়, ব্যানার নিয়ে মিছিল করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ব্যানারের সামনে রয়েছেন সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। একপর্যায়ে একটি হাত ব্যাগ থেকে পিস্তল বের করেন তিনি। ব্যাগটি বাঁশখালী উপজেলা ওলামা লীগের সভাপতি আকতার হোসাইনকে দিয়ে পিস্তল নিয়ে তিনি হাঁটতে থাকেন। মিছিলের সামনে থেকে লোকজন ও গাড়ি সরিয়ে দেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
ভিডিও ভাইরালের পর ব্যাগ থেকে পিস্তল প্রদর্শন প্রসঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, 'আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে মারবে আমরা কি চেয়ে থাকব? এটা কী জন্য নেওয়া হয়েছে? বিপদের সময় ব্যবহার করার জন্য এটা (পিস্তল) নেওয়া হয়েছে। নিজের নিরাপত্তার জন্য লাইসেন্স করা পিস্তল নেওয়া হয়েছে।'
এর আগে নিজের গাড়িতে বসে এমপি মোস্তাফিজুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য ও গালাগালি করার একটি ভিডিও ফেসবুক-ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছিল।
এছাড়া নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর এবং মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন এ সংসদ সদস্য।