দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির অবৈধ সম্পদের তথ্য অনুসন্ধান করছে দুদক
৪৫৯ বাংলাদেশি নাগরিকের দুবাইয়ে অবৈধভাবে সম্পত্তি কেনার অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১০ এপ্রিল) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাইকোর্টের আদেশে একজন পরিচালক ও তিনজন উপপরিচালকের সমন্বয়ে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দুদক।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাসের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন।
এরপর দুদক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফইউজে) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত বছরের মে মাসে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশিরা মূলত উপসাগরীয় দেশগুলোতে পাচার করা অর্থ দিয়ে আবাসন সম্পদ কিনেছেন।
ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়ে, ৪৫৯ জন বাংলাদেশি দুবাইয়ে ৩১৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মোট ৯৭২টি আবাসিক সম্পদ কিনেছেন। এসব সম্পদের মধ্যে ৬৪টি অভিজাত দুবাই মেরিনা এলাকায় এবং ১৯টি পাম জুমেইরাতে অবস্থিত। এসব স্থানে অন্তত ১০০টি ভিলা ও পাঁচটি ভবন বাংলাদেশিদের মালিকানায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া ৪-৫ জন বাংলাদেশি সেখানে প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির মালিক।
গবেষণা প্রতিবেদনে অবশ্য কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।