অনুমোদনের আগে প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য খরচকৃত ফরেইন কারেন্সি যাচাইয়ের নির্দেশনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের
পাসপোর্টে ডলার, পাউন্ডের মতো ফরেইন কারেন্সি এনডোর্স করার আগে সে পাসপোর্টের বিপরীতে গ্রাহক কী পরিমাণ ফরেইন কারেন্সি খরচ করেছেন, তা যাচাই করতে ডিলার ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ফরেইন এক্সচেঞ্জ অপারেশন ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ডলার এনডোর্স করার আগে ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারগুলোকে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের অনলাইন টিএম ফর্ম মনিটরিং সিস্টেম, ইন্টারন্যাশনাল কার্ড মনিটরিং সিস্টেম বা অনলাইন মানি চেঞ্জার মনিটরিং সিস্টেমে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক বছরে কী পরিমাণ ডলার খরচ করেছেন তা যাচাই করে নিতে হবে।
গ্রাহকের এর আগেও যদি কোনো পাসপোর্ট থেকে থাকে, তাহলে তার বিপরীতে চলতি বছরে কী পরিমাণ ডলার এনডোর্স করে খরচ করেছেন সেটিও দেখতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারগুলো নানা সময়ে পাসপোর্টের মাধ্যমে চলতি বছরে কী পরিমাণ ডলার এনডোর্স করা হয়েছে, তা ঠিকমতো যাচাই-বাছাই না করেই নতুন করে আবার এনডোর্স করে দিয়েছে।
এতে অনেক সময় গ্রাহকেরা তাদের ইয়ারলি লিমিটের বেশি ডলার এনডোর্স করে খরচ করেছেন। সেটি যেন সামনের দিনগুলোতে না হয়, এজন্য নির্দেশনাটি দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, বর্তমানে একজন প্রাপ্তবয়স্ক গ্রাহক তার পাসপোর্টের বিপরীতে বছরে ১২ হাজার ডলার বা তার সমপরিমাণ ফরেইন কারেন্সি এনডোর্স করে খরচ করতে পারেন।
১২ বছরের কম বয়সীদের পাসপোর্টের বিপরীতে ৬ হাজার ডলার পর্যন্ত এনডোর্স করার অনুমতি আছে।
এর আগে, গ্রাহকেরা সর্বোচ্চ ৭ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করতে পারতেন। ২০১৯ সালে এক সার্কুলারে এই সীমা বাড়ানো হয়।