সিংহ নয়, একতারা প্রতীক পেলেন হিরো আলম
বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ দুই আসনের উপনির্বাচনে বহুল আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম হিরো আলমের হাতে একতারা প্রতীক তুলে দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) হিরো আলমকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
৮ জানুয়ারি হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। দুই আসনের প্রতিটিতে ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের সইসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল আছে উল্লেখ করে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
আপিল করলে নির্বাচন কমিশন শুনানির পর তা বাতিল করে। প্রার্থিতা ফিরে পেতে গত ১০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। পুনর্বিবেচনা শেষে কমিশন তার আপিল আবেদন খারিজ করে দিলে হিরো আলম উচ্চ আদালতে আসেন।
প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে হিরো আলম জানান, 'আমি অভিনয় অঙ্গণের মানুষ। অভিনয় ও গান নিয়ে আমার কাজ। এজন্য একতারা প্রতীক পেয়ে আমি খুব খুশি। গতবারের মতো এবারও আমাকে অনেক যুদ্ধ করে প্রার্থীতা পেতে হয়েছে। কেন এরকম বারবার হয়রানি করা হয় জানি না। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে আমি পুরোপুরি আশাবাদী। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ তাদের সেবা করার জন্য আমাকেই সুযোগ দেবেন বলে আমি নিশ্চিত।'
২০১৮ সালের নির্বাচনে হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'গতবার আমার লোকজন কম ছিল। এবার আমার জনপ্রিয়তা ও কর্মী সমর্থক অনেক। তাই কেউ হামলার চেষ্টা করলে পাল্টা-হামলা করা হবে।'
বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হিরো আলম শৈশবে চানাচুর বিক্রি করতেন। পরে তিনি সিডি বিক্রি এবং ডিশ সংযোগের ব্যবসা করেন। নিজেই মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ডিশ লাইনে সম্প্রচার শুরু করেন। এভাবে হিরো আলমের তৈরি মিউজিক ভিডিও এবং ইউটিউব সিনেমা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন।
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য পদত্যাগ করায় বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।