তথ্য না দেওয়ায় নিবন্ধিত ১৪ দলকে ইসির নোটিশ
দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো নিবন্ধনের শর্তগুলো মেনে চলছে কিনা সেই প্রতিবেদন চেয়ে নির্বাচন কমিশনের চিঠির জবাবে যেসব দল সড়া দেয়নি, তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলসহ ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১৪টি দল নির্ধারিত সময়সীমা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর।
দলগুলো নিবন্ধনের শর্ত মেনে চলছে কিনা, সে বিষয়ে তাদের কাছে প্রতিবেদন চেয়ে গত ১৩ অক্টোবর পাঠানো চিঠিতে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "তথ্য দিয়েছে ২১টি রাজনৈতিক দল; সময় চেয়েছে ৪টি। ১৪টি দল সময়মতো প্রতিবেদন দেয়নি। যারা সময় চেয়েছে তাদেরকে আমরা সময় দিয়েছি ১ মাস। যারা প্রতিবেদন দেয়নি, তাদের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে। আজই (বুধবার) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হবে।"
যে ১৪ দলকে শোকজের নোটিশ দেওয়া হয়েছে- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি।
এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও গণতন্ত্রী পার্টি সময় পার হওয়ার পরপরই প্রতিবেদন জমা দিলেও তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর।
শর্ত পূরণ করতে না পারা দলগুলোর ব্যপারে কমিশনার আলমগীর বলেন, "প্রতিবছর যে তথ্যগুলো চাইবো, তারা আমাদেরকে দেবেন। পরপর তিনবছর না দিলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।"
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
নতুন দলের নিবন্ধন সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, "কাগজপত্র যাচাই-বাছাই হচ্ছে। কাজ সম্ভবত শেষের দিকে। আইনগত দিকগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে। সচিবলায় আমাদের কাছে এগুলো উপস্থাপন করবে। কাগজপত্র ঠিক থাকলে সেগুলো মাঠ পর্যায়ে ঠিক আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হবে। যাদের কাগজপত্র ঠিক থাকবে না, তাদেরকে নিবন্ধন দেওয়ার সুযোগ নেই।"