চট্টগ্রাম বন্দরে ইলেকট্রনিক ডেলিভারি সিস্টেম চালু: কমেছে ব্যয় ও সময়
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্য ডেলিভারি প্রক্রিয়ায় চালু হয়েছে ইলেকট্রনিক ডেলিভারি অর্ডার (ইডিও) সিস্টেম। ইডিও চালুর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক অপারেশনাল কার্যক্রমে গতি বেড়েছে। গত ১ নভেম্বর থেকে শতভাগ ইডিও সিস্টেমটি চালুর মাধ্যমে ডেলিভারি প্রক্রিয়ায় জড়িত আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সময় ও খরচ উভয়ই কমেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ইডিও চালুর ফলে শুধু জালিয়াতি বন্ধই নয়, ডেলিভারি অর্ডার প্রক্রিয়ায় একদিনের কাজ ৫ থেকে ১০ মিনিটে করা সম্ভব হচ্ছে। সশরীরে অফিসে না এসে সংশ্লিষ্টরা দরকারি কাজ অনলাইনেই সম্পন্ন করতে পারছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক টিসিএবকে বলেন, ইলেকট্রনিক ডেলিভারি সিস্টেম চালুর ফলে এখন ব্যবসায়ীরা দ্রুত ডেলিভারি নিতে পারছে। ডেলিভারি প্রক্রিয়ায় আমদানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, শিপিং এজেন্টসহ সংশ্লিষ্টদের সময় কম লাগছে।
তিনি আরও জানান, এখন ৯৫ শতাংশ ডেলিভারি অনলাইনে হচ্ছে। যেসব ব্যবসায়ীরা এই প্রক্রিয়ার বাইরে আছেন, তারাও কয়েকদিনের মধ্যেই অনলাইন ডেলিভারির আওতায় চলে আসবেন।
বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ হাজার কন্টেইনার ডেলিভারি হয়। ইডিও চালু হওয়ার আগে ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে ডেলিভারি হয়েছিল ২ হাজার ১৫ টিইইউএস (টুয়েন্টি ফুট ইকুইভ্যালেন্ট ইউনিটস) কন্টেইনার।
ইডিও চালুর পর ১ নভেম্বর ডেলিভারি হয় ৩ হাজার ৪৮৬ টিইইউএস এবং সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর ডেলিভারি হয় ৪ হাজার ৫৩ টিইইউএস কন্টেইনার।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ইডিও সিস্টেমের জন্য পোর্ট কমিউনিটি সিস্টেম নামে একটি পৃথক পোর্টাল তৈরি করেছে।
ইডিও সিস্টেমে, পণ্য জাহাজ থেকে নামানোর পর আমদানিকারকের পক্ষে একজন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট পোর্ট কমিউনিটি পোর্টালে লগইন করে ইডিও'র জন্য আবেদন করবেন। সিএন্ডএফ এজেন্টকে সেই তথ্য শিপিং লাইন ও ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারকেও জানাতে হবে। এরপর শিপিং এজেন্ট একই পোর্টালে লগইন করে ফি সংগ্রহ করবে এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারের কাছে তা পাঠাবে। একইভাবে, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডরা তাদের চার্জ সংগ্রহ করবে এবং সেই তথ্য পোর্টালে আপলোড করবে।
প্রতিদিন প্রায় ৮ হাজার ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এবং লরি পণ্য ডেলিভারির জন্য প্রবেশ করে চট্টগ্রাম বন্দরে। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে যানবাহনের প্রবেশ ফি আদায়ও ডিজিটালাইজড করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।