মাথায় ইটের আঘাতে যুবদল কর্মী শাওনের মৃত্যু হয়েছে: পুলিশ
মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সাথে বিএনপির এক সংঘর্ষের পর গত ২২ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় যুবদল কর্মী শাওন ভুঁইয়ার।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন দাবি করেছেন, সংঘর্ষ চলাকালে মাথায় ইটের আঘাত লাগে শাওনের, এতেই পরে তার মৃত্যু হয়েছে।
'শাওন পুলিশের গুলিতে মারা যায়নি। তার মাথায় বিএনপির আরেক কর্মীর ছোড়া ইট এসে লাগে, গুরুতর আহত অবস্থায় পরে সে মারা যায়'।
আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে যুবদল কর্মী শাওন নিহত হওয়ার ব্যাখ্যা দেয় পুলিশ। গত ২১ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় ওই সংঘর্ষের ঘটনার ৬ দিন পর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসপি বলেন, 'পুরাতন ফেরিঘাটে সদর উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি নেতাকর্মীরা পূর্ব অনুমতি না নিয়েই সমাবেশ ও ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় তাদের অর্ন্তকোন্দলের জের ধরে নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা মারমুখী হয়ে উঠে। এ সময় চারদিক থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে'।
ইটের আঘাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল, সদর থানার ওসিসহ অন্তত ১৬ পুলিশ সদস্য আহত হয় বলে জানান তিনি।
পুলিশের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আরও বলেন, 'পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের রাবার কার্তুজ ও গ্যাসশেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশের ওপর হামলার জন্য ২৪ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়'।
নিহত শাওনের ময়নাতদন্ত রিপোর্টের বরাত দিয়ে এসপি বলেন, 'ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার মৃত্যু হয়েছে মাথায় আঘাত লাগার কারণে। তার দেশে গুলির আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি'।
গত সপ্তাহের ওই সংঘর্ষে বিএনপি নেতাকর্মী, পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়।