রোগীদের চিকিৎসা ব্যয় কমাতে বেসরকারি হাসপাতালকে সহায়তার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ দ্বিগুণ করে, শক্তিশালী নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তুলতে চায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পেছনে রোগীর ব্যক্তিগত ব্যয়ের ভার কিছুটা সরকারি খাতে নিয়ে– তা সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা (ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ, বা ইউএইচসি) বাস্তবায়নের প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনাটি সরকারকে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে সহায়তা করবে, যা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) ২০৩০ এর অংশ।
ইউনিসেফের অর্থায়নে লন্ডনভিত্তিক বিশ্বের খ্যাতনামা চিন্তক সংস্থা- চ্যাথাম হাউস- এর প্রস্তুতকৃত খসড়া প্রতিবেদনের সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে এ প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
'এচিভিং ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ ইন বাংলাদেশ: এন এক্সপ্লোরেশন ফর পলিসি অপশনস' বা 'বাংলাদেশ সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা অর্জন: নীতিমূলক উপায়গুলির সন্ধান' শীর্ষক এ প্রতিবেদন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের বর্তমান অবস্থা, অর্থনৈতিক অগ্রগতির বর্তমান ধারা বিশ্লেষণ এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সফল উদ্যোগ- পর্যালোচনা করে তৈরি করা হয়েছে।
রয়্যাল ইনস্টিটিউট অভ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স নামেও সুপরিচিত চ্যাথাম হাউস তাদের প্রতিবেদনে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ দেশের জিডিপির ২ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই বরাদ্দের পরিমাণ জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ।
স্বাধীন এই নীতি গবেষণা সংস্থাটি ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, ভারত এবং ভুটানের সফল উদ্যোগ তুলে ধরে, বাংলাদেশে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এবং ব্যক্তিগত ব্যয় হ্রাস করতে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি— এমন বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে।
গত সপ্তাহে সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত চেয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চ্যাথাম হাউসের সুপারিশ অনুসারে, অত্যাবশ্যকীয় ১৬ ধরনের স্বাস্থ্য সেবাদানে ভারতের দিল্লির 'মহল্লা ক্লিনিকে'র আদলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রধান শহরগুলিতে 'সুবর্ণ রেখা' নামে নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে।
খসড়া প্রতিবেদনে, সরকারি হাসপাতালে পরিষেবার মান বাড়ানো এবং রোগীদের ব্যক্তিগত খরচ মেটাতে সরকারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে।
এতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মৌলিক ভিত্তি– যেমন জনশক্তি, ওষুধ ও সরবরাহ, অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা টিবিএসকে বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খসড়া প্রতিবেদনের বিষয়ে অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সুপারিশ এবং এ খাতের প্রকৃত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আলোচনা ও মতামত চাওয়ার পর প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করবে।
এই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য বাস্তবায়নে, বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দিতে একটি চুক্তি করেছে চ্যাথাম হাউস এবং ইউনিসেফ।
চলতি বছরের ১১-১৫ সেপ্টেম্বর চ্যাথাম হাউসের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করে।
সফরকালে তারা স্টেকহোল্ডারদের সাথে একটি কর্মশালায় অংশ নেন এবং উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা ও নীতিনির্ধারকদের সাথে বৈঠক করেন।
ব্যয়বহুল স্বাস্থ্যসেবা
বাংলাদেশে, বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক শ্রেণির মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের দিক থেকে ব্যাপক বৈষম্য রয়েছে। শহরাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কাভারেজ বা বিস্তারও- প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
স্বাস্থ্যসেবার জন্য ব্যক্তিগত ব্যয়ও এদেশে খুব বেশি। বর্তমানে, বাংলাদেশিদের মোট চিকিৎসা খরচের ৬৮.৫০% ব্যক্তিগতভাবে দিতে হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
শহুরে দরিদ্র এবং নিম্ন-অর্থনৈতিক গোষ্ঠীর জন্য মাতৃ, প্রজনন, বা শিশু স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত এবং অসংক্রামক রোগের সাশ্রয়ী মূল্যে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার বিকল্পও খুব কম রয়েছে।
শহরাঞ্চলে অপর্যাপ্ত সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার কারণে, দরিদ্র এমনকি মধ্যম আয়ের মানুষও খুব ব্যয়বহুল বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে (ক্লিনিক, হাসপাতালে) যেতে পারে না।
সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার কাভারেজ অর্জনে সঠিক কৌশলের ওপর জোরদান
সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবার অর্থ হলো- আর্থিকভাবে দুর্গতির শিকার না হয়েই সমাজের সব ব্যক্তি ও সম্প্রদায় চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।
এরমধ্যে অত্যাবশ্যকীয় ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবাসহ, রোগ প্রতিরোধ প্রসার, চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং রোগ উপশমের সেবা রয়েছে, যা রোগীকে আজীবন দেওয়া হবে।
জনগণকে যখন তাদের নিজ পকেট থেকে স্বাস্থ্যসেবার বেশিরভাগ খরচ দিতে হয়, তখন দরিদ্ররা প্রায়শই তাদের প্রয়োজনীয় অনেক পরিষেবা পায় না। এমনকী ধনীরাও গুরুতর বা দীর্ঘস্থায়ী রোগ পরিস্থিতিতে আর্থিক অসুবিধার সম্মুখীন হয়। মানুষ তার একান্ত জরুরি তহবিল খরচ করতে বাধ্য হলে– সম্পূর্ণ জনসংখ্যার মধ্যে অসুস্থতাজনিত আর্থিক ঝুঁকি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অর্থমন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, 'দেশের সকল জনগণের আর্থিক সক্ষমতার মধ্যে প্রয়োজনীয় সকল সেবা মানসম্মতভাবে নিশ্চিত করাই হলো– সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার মূল প্রতিপাদ্য। বিষয়টি আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং টার্গেট'।
'তবে এটি একটি দীর্ঘ যাত্রা। যথাযথভাবে যাত্রা শুরু করে, সঠিক কৌশল অনুসরণ করে ক্রমশ এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে এই টার্গেট অর্জন করা সম্ভব হবে বলে বাস্তবে দেখা গেছে'।
সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবার বিষয়টি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রার একটি টার্গেট। যা অর্জনে সরকারের, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবার দু'টি মূল দিক- সার্ভিস কাভারেজ (পরিষেবার পরিধি) এবং ফাইন্যান্সিয়াল কাভারেজের (আর্থিক পরিধি) ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে অর্থ মন্ত্রণালয়কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশের অত্যাবশকীয় স্বাস্থ্যসেবার (পরিষেবা) এখন ৫২%।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বরাদ্দ বৃদ্ধি করে, এটিকে আরও গুরুত্ব প্রদান এবং অনেক উন্নত দেশের মতো প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা-ভিত্তিক সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা দরকার। এটি বাংলাদেশের জন্য তুলনামুলকভাবে সহজতর ও সাশ্রয়ী বলে মনে করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়কে বলেছে, 'সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়াতে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এই কার্যক্রমগুলি সুদূরপ্রসারী ভূমিকা পালন করতে পারে'।
স্বাস্থ্যসচিব ডা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, এসডিজির শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ অর্জন করতে হবে। এজন্য আমাদের দেশের জন্য কোন কৌশল কার্যকর হবে– সে বিষয়ে চ্যাথাম হাউস আমাদের টেকনিক্যাল সহায়তা দেবে। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের সহায়তা দিয়েছে।
"আমাদের সাথে তারা কীভাবে কাজ করবে– সে বিষয়ে থিঙ্ক ট্যাঙ্কটি আমাদের জানাবে। এরপর কবে থেকে কাজ শুরু হবে, তা আমরা ঠিক করব। তারা যে কৌশল প্রস্তাব করবে, তা পর্যালোচনার পর আমরা কাজ শুরু করব।"
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা.আবু জামিল ফয়সাল টিবিএসকে বলেন, "সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের ক্ষেত্রে প্রথম যে জিনিসটি বিবেচনা করা হয় তা হল– যতটুকু সম্ভব রোগীর ব্যক্তিগত খরচ কম রাখা। এর উদ্দেশ্য সকলকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া নয়, বরং সকলকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনা। আর এক্ষেত্রে সরকার, বেসরকারি খাত, দাতাদের পাশাপাশি দেশের জনগণের ভূমিকা থাকবে।"
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে সরলীকরণ করা দরকার
দিল্লিবাসীদের দোরগোড়ায় সহজলভ্য মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার ধারণার ওপর ভিত্তি করেই সেখানকার আম আদমি দলের সরকার 'মহল্লা ক্লিনিক' উদ্যোগটি প্রবর্তন করে।
বাংলাদেশেও শহুরে স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্র রয়েছে, যেগুলি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে। কিন্তু, তাদের পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দীর্ঘদিন ধরে এই কেন্দ্রগুলো নিজেদের আওতায় নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে, কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সেগুলো ছাড়তে নারাজ। এই প্রেক্ষাপটে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে একটি কার্যকর নগর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে।
স্বাস্থ্যসচিব বলেন, দেশে খুব কম রোগী প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে যান। 'মানুষ অসুস্থ হলে হাসপাতালে যায়। তাই, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিজস্বভাবে শহুরে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। পরবর্তী পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করা হবে'।
"এটি বাস্তবায়ন করা গেলে, মধ্য এবং তৃতীয় স্তরের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ওপর চাপ কমবে। এটি মানুষের ব্যক্তিগত ব্যয় কমাতেও সাহায্য করবে এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া লোকের সংখ্যাও কমবে।"
অন্যান্য দেশগুলি কীভাবে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জন করেছে
ইতিহাসে ঘাটলে দেখা যায়– জনস্বাস্থ্য জরুরী অবস্থা, আর্থিক সংকট বা বড় ধরনের যুদ্ধ-সংঘাত থেকে দেশে দেশে উদ্ভূত হয়েছে সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। যেমন মহামন্দার পর নিউজিল্যান্ডে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাজ্যে, এশীয় আর্থিক সংকটের পর থাইল্যান্ডে এবং সার্স ভাইরাস মহামারির পর চীনের স্বাস্থ্য অর্থায়ন ব্যবস্থার পুনঃসামাজিককরণ- এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২০১৮ সালে ভারত এজন্য ১৫৪ কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে, যা স্বাস্থ্য বিমার পেমেন্ট হিসেবে দেবে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি। এই কর্মসূচির আওতায় দেশটির মধ্য ও তৃতীয় স্তরের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে গিয়ে নিতম্ব প্রতিস্থাপন থেকে শুরু করে ক্যান্সারের চিকিৎসার মতো নানাবিধ স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবে ভারতীয়রা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, ইউনিসেফ একটি ব্যয় সাশ্রয়ী এবং ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতির হিসাবে, শহর ও গ্রামীণ উভয় ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালী করার মাধ্যমে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অন্যদিকে, চ্যাথাম হাউসের সেন্টার ফর ইউনিভার্সাল হেলথ– সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের (ইউএইচসি) রাজনৈতিক অর্থনীতিতে সরকারগুলিকে সমর্থন দেয়। তারা এটি সংস্কারের পরিকল্পনা, অর্থায়ন এবং বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সরকারগুলিকে সহায়তা দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেয়।
সম্প্রতি, চ্যাথাম হাউস ইউনিভার্সাল হেলথ কমিশন গঠন করেছে, যার কো-চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্ক এবং তানজানিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট জাকায়া কিকওয়েতে। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে ত্বরান্বিত করতে এবং দেশগুলিতে শিক্ষাকে উদ্দীপিত করতে- এই কমিশন বিশ্বনেতাদের সাথে যৌথভাবে কাজ করবে।
অটিজম অধিকার কর্মী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অটিজম বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা– সায়মা ওয়াজেদ এ কমিশনের অন্যতম সদস্য।