নোয়াখালীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা, গ্রেপ্তার ১১
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৮০-৯০ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। এদিকে জেলার বেগমগঞ্জ ও সোনাইমুড়ীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১ জনকে। যার মধ্যে বেগমগঞ্জের মামলায় গ্রেপ্তার আছেন ৭ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি। তিনি বলেন, বুধবার রাতে উপ-পরিদর্শক মাহবুব বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলমকে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন বেগমগঞ্জ উপজেলার বিএনপি কর্মী ইব্রাহিম খলিল সাব্বির, হোসনে মোবারক রনি, মোহাম্মদ আজিম, শামীম ওসমান, আব্দুল হক, ইসমাইল হোসেন, ফরহাদ, সোনাইমুড়ি উপজেলার আবদুল মান্নান পলাশ, জহিরুল ইসলাম শিপন, মো. বাছেত ও বেলাল হোসেন।
প্রসঙ্গত, চৌমুহনীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সভা-সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা এবং জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে চৌমুহনী পৌর এলাকায় বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা থাকায় বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা একলাশপুর ইউনিয়নে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে তাতে বাধা দেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ ১৫ রাউন্ড শর্টগান ও ৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ৭ জনকে।