ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাস-লরির সংঘর্ষে ১২ ঘণ্টাব্যাপী যানজট

কুমিল্লার চান্দিনায় বাসের ধাক্কায় মহাসড়কের পাশে ছিটকে পড়ে লরির বডি। এসময় লাইনচ্যুত হয়ে মহাসড়কের বিভাজনে আছড়ে পড়ে যাত্রীবাহী বাস। এতে কেউ নিহত হয়নি, তবে মারাত্মক আহত হয় লরির চালক ও হেলপার। এ ঘটনায় মহাসড়ক জুড়ে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে যানজট সৃষ্টি হয়।
বুধবার দিনগত রাত আড়াইটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা মহাসড়কের চান্দিনা পালকি সিনেমা হলের সামনে থেকে নিমসার পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে থেমে থেমে যানজট চলছে।
জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজারগামী একটি যাত্রীবাহী বাস বুধবার রাত আড়াইটায় চান্দিনার গোবিন্দপুর এলাকায় একটি পণ্যবাহী লরিকে অতিক্রম করার সময় দুইটি গাড়ির মধ্যে ধাক্কা লাগে। এসময় বাসের ধাক্কায় লরির সামনের অংশ ছিটকে মহাসড়কের পাশে পড়ে যায় এবং বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের বিভাজনের ওপর উঠে যায়।
চান্দিনা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট, ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে। এর মধ্যে লরি চালক ও হেলপারকে মারাত্মক আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, মহাসড়কের ওপর থেকে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো সরিয়ে নিতে সময় লাগে কয়েক ঘণ্টা। এতে মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো সরিয়ে নিলেও যানজট কমেনি।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার ফলেই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার সাধারণত মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেক বেশি থাকে। যে কারণে যানজট এখনও আছে। তবে আমাদের হাইওয়ে পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করায় যানজট অনেক কমে এসেছে।
হাইওয়ে পুলিশ ময়নামতি ক্রসিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, দুর্ঘটনায় কেউ মারা যায়নি। আহত দুইজনের কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। যানজট অনেক কমে গেছে।