সাভার ট্যানারির কঠিন বর্জ্যকে বাই-প্রোডাক্টে পরিণত করার উদ্যোগ

সাভার ট্যানারী শিল্পনগরীতে দীর্ঘদিন ধরে উন্মুক্ত ও অব্যবস্থাপনায় পড়ে থাকা কঠিন বর্জ্য (সলিড ওয়েস্ট) বিক্রির উদ্যোগ নিচ্ছে ঢাকা ট্যানারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কোম্পানি লিমিটেড।
চামড়া প্রক্রিয়াকরণের পর উৎপন্ন সলিড ওয়েস্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাই-প্রোডাক্ট তৈরী সম্ভব।
ফেলে দেওয়া এই বর্জ্য দিয়ে প্রাণী খাদ্য, বায়োগ্যাস, কমপোস্ট সার, জেলাটিন, গ্লু, লেদার ফাইবার বোর্ড, পেপার, মানিব্যাগ, ব্রিকস ও টাইলসসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব।
ফলে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি যৌথ উদ্যোগ বা অটোমেটেড যন্ত্রপাতি সম্বলিত প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেবে প্রতিষ্ঠানটি।
কাচা চামড়া প্রক্রিয়াকরণে সাভার শিল্পনগরীতে তরল ও সলিড দুই ধরনের বর্জ্য উৎপন্ন হয়।
তরল বর্জ্য কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার বা সিইটিপি হয়ে নদীতে মিশলেও ট্যানারির উৎপাদিত সলিড ওয়েস্ট নিয়ে বিপাকে পড়েছিল ট্যানারি শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবছর প্রায় ৬৪ হাজার মেট্রিক টন সলিড ওয়েস্ট উৎপন্ন হয়, যা উন্মুক্ত স্থানে পড়ে রয়েছে।
বছরের পর বছর বর্জ্য বাড়তে থাকায় অনেকটা ধারণক্ষমতার বেশি হয়ে পড়েছে সলিড ওয়েস্ট, যা দেদারসে নদীর পানিতে মিশছে।
ঢাকা ট্যানারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাক আহমেদ টিবিএসকে বলেন, "সলিড ওয়েস্ট পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ কিন্তু এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাই-প্রডাক্ট উৎপাদন করা সম্ভব।"
তিনি বলেন, "এই বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য আগেও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখায় কিন্তু পরবর্তীতে তা আর এগোয়নি। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বর্জ্যগুলো স্বল্পমূল্যে বিক্রি করবো।"
তবে এবার সলিড ওয়েস্ট ফেলে না রেখে, এই বর্জ্য দিয়ে বাই-প্রডাক্ট তৈরীকারক প্রতিষ্ঠানের কাছে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করবে প্রতিষ্ঠানটি।