কখনই নিবন্ধন করেনি দেশের ১৪% বেসরকারি হাসপাতাল: আইসিডিডিআর,বি গবেষণা

দেশে অনিবন্ধিত হাসপাতালের সংখ্যা নিয়ে উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) বলছে, দেশে এমন কিছু বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে যারা নিবন্ধনের জন্য কখনই আবেদন করেনি, শতকরা হিসেবে তা প্রায় ১৪ শতাংশ।
এমনকি যেসব হাসপাতাল কোন একসময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিলো, তাদের মধ্যেও বড় একটি অংশের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বেলা ১২টায় আইসিডিডিআরবি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই গবেষণা উপাত্ত তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিভিশনের (এমসিএইচডি) সিনিয়র ডিরেক্টর ডা. শামস এল আরেফিন।
২০১৯-২০ সালে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়।
তবে, এই সময়ে এসে সেই পরিস্থিতি পরিবর্তনও হতে পারে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর,বি।
ডা. আরেফিন জানান, "দেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করেছে। এ বিষয়টি দেখতে ইউএস-এইডের সহায়তায় আমরা ১২ সিটি কর্পোরেশনের ১০ টি জেলার ২৯টি উপজেলায় একটি গবেষণা জরিপ পরিচালনা করি। এতে স্থানীয় সিভিল সার্জনসহ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল সহায়তা করে।"
তিনি বলেন, গবেষণাটি করতে গিয়ে ১১৮৯টি বেসরকারি হাসপাতালকে অ্যাসেসমেন্টের (মূল্যায়ন) জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়, কিন্তু তাদের মধ্যে ৪০টি হাসপাতালই সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায়। সবশেষে ১১১৭টিতে অ্যাসেসমেন্ট করা হয়।
শামস এল আরেফিন বলেন, জরিপকৃত ১১১৭টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৯৫৬টি হাসপাতাল কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিলো, শতকরা হিসেবে যা প্রায় ৮৬ শতাংশ।
বাকি ১৬১টি বেসরকারি হাসপাতাল কখনই নিবন্ধন করেনি, যা শতাংশ হিসেবে ১৪ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, কোন একসময় নিবন্ধনের আওতায় আসা ৯৫৬টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৮৮৬টির (৭৯ শতাংশ) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিলো, ৬৬টি হাসপাতালের (৬ শতাংশ) বৈধ লাইসেন্স ছিলো এবং বাকি ৪টি হাসপাতাল (দশমিক ৫ শতাংশ) এ বিষয়ে কোন তথ্য জানায়নি।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সাল থেকে দেশে বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের অগ্রগতি শুরু হয়। এ অগ্রগতি সবচেয়ে বেশি হয় ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত।
বর্তমানে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবার জন্য নির্ভর করে বেসরকারি হাসপাতালের ওপর।
বেসরকারি হাসপাতালের ওপর মানুষের এই নির্ভরশীলতার কারণ হলো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ নানা সংকট।