কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার
নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করা শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন এবং তার স্বামী মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় তার স্বামী মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতের কোনো এক সময়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। ঘটনার সময় তার স্বামী একই ঘরে ঘুমন্ত ছিলেন।
এর আগে গত ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে কলেজছাত্র মামুন ও শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাসেরও বেশি সময় পার হওয়ার পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক বছর আগে ফেসবুকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কলেজ শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে দু'জন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি।
নাটোর জেলার পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, বিয়ের খবর জানাজানি হওয়ার পর থেকেই লোকজনের কথা শুনে সামাজিক ও মানসিকভাবে ট্রমার মধ্যে ছিলেন ওই শিক্ষক। তার স্বামী প্রাথমিকভাবে আমাদের একথা জানিয়েছেন। তবে সেটা সত্য নাও হতে পারে। মূল ঘটনা জানতে আমাদের আরও সময় লাগবে।