বগুড়ায় বাস চলাচল বন্ধ

কোনো ঘোষণা ছাড়া বগুড়া থেকে দুরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে তেলচালিত বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকেই এই অঘোষিত ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
বগুড়ার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে রংপুর, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, নগরবাড়ীসহ রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে কোন বাস বগুড়া ছেড়ে যায়নি। তবে সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহ ও জেলার আভ্যন্তরীন রুটে গ্যাসে চালিত বাসগুলো ছেড়ে যাচ্ছে।
পরিবহন শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের দাবি, জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকসানের মুখে তারা যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছেন। নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ না করা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও জানান পরিবহন শ্রমিকরা।
বগুড়া ও নগরবাড়ী রুটের বাস চালক নান্টু মন্ডল জানান, আগে যেখানে জ্বালানি লাগতো ৫ হাজার টাজার এখন লাগবে ৯ হাজার টাকার। "এই বাড়তি ৪ হাজার টাকা আমরা পাবো কই। এজন্য গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছি।"
বগুড়া ও ঢাকা রুটের ইউনাইটেড পরিবহনের বাস চালক জিয়াউর রহমান বলেন, "বাস ভাড়া না বাড়ানো পর্যন্ত আমরা গাড়ি চালাবো না। নিজের পকেট থেকে টাকা ঢেলে কেউতো আর ব্যবসা করবে না।"
বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ রুটের চেইন মাস্টার নিহাজুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে তার রুটে মাত্র ১ টি বাস ছেড়ে গিয়েছে সেটিও গ্যাসের। তেলের কোন গাড়ি চলাচল করছে না। অন্যরুটগুলোরও একই অবস্থা।
শুক্রবার রাতে ঘোষিত জ্বালানি তেলের নতুন মূল্যে প্রতি লিটারে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ আগের মূল্য ৮০ টাকার বদলে এখন এ জ্বালানিগুলো কিনতে ক্রেতাকে গুণতে হবে ১১৪ টাকা। অন্যদিকে অকটেন ও পেট্রোল লিটারপ্রতি ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা করা হয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালের ২৭ অক্টোবর ডিজেলের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি ছিল কেবল ৩৭.৫ শতাংশ। কিন্তু এবার ডিজেলের দাম বেড়েছে ৪২.৫ শতাংশ এবং অক্টেনের ৫১.৬ শতাংশ।