ইউরিয়ার দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে- ভুল সময়ে?
বিশ্বব্যাপী ইউরিয়া সারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকদের জন্য প্রতিকেজি ইউরিয়া সারের দাম ৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ টাকা করেছে সরকার। খাদ্যপণ্যের চড়া মূল্যস্ফীতি যখন বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে, তার মধ্যে এই পদক্ষেপ দেশে চাল উৎপাদনে বাড়তি খরচ যুক্ত হওয়ার আশঙ্কাও সৃষ্টি করেছে।
ডিলার পর্যায়ে প্রতিকেজি ইউরিয়া সারের দাম আগে ১৪ টাকা হলেও, এখন থেকে তা ২০ টাকা হবে।
সোমবার ( ১ আগস্ট) এক নোটিশে নতুন মূল্য নির্ধারণ করে দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়, যা এদিন থেকেই কার্যকরের কথাও জানানো হয়।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৩ সালের আগস্টে ইউরিয়া সারের দাম সমন্বয় করা হয়। তখন বিশ্ব বাজারে সারটির দাম কম থাকায় এবং স্থানীয় সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ স্থিতিশীল থাকায় মূল্য ২০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছিলেন, ফসল উৎপাদনের খরচ কমিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষির এই জরুরি উপকরণের দাম কমানো হয়েছে।
এর আগে ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রতিকেজিতে ১২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ইউরিয়ার দাম ২০ টাকা করা হয়, তখন প্রতিটনের মূল্য প্রায় ২০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকায় উন্নীত হয়।
আন্তর্জাতিক বাজারে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ব্যাপকভাবে বেড়েছে ইউরিয়া সারের দাম। এক পর্যায়ে তা প্রতিটনে ৯৬০ ডলারে পৌঁছালেও, কিছুটা কমে এখন রয়েছে ৫৬০ ডলারে। অর্থাৎ, সর্বশেষ মুদ্রা বিনিময় হার অনুসারে,বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতিটনের মূল্য প্রায় ৫৩ হাজার ২০০ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিকেজি ইউরিয়া সারের দাম এখন ৮১ টাকা। খুচরা মূল্য ৬ টাকা বাড়ানোর পরও সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে ৫৯ টাকা।
২০০৫-০৬ অর্থবছরে প্রতিকেজিতে সরকারের ভর্তুকি ছিল মাত্র ১৫ টাকা।
এদিকে মূল্যবৃদ্ধি ঘোষণার মাত্র পাঁচ দিন আগেই কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, কৃষকেরা যেন সার সংকটে না পড়েন, সেজন্য সরকার আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লেও সেখান থেকে আরও সার কিনবে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আমন মৌসুমের শুরুতেই সারের দাম বাড়ানো মোটেই যৌক্তিক পদক্ষেপ হয়নি।
'বৈশ্বিক খাদ্য সংকট চলাকালীন দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হলে, সবার আগে আমাদের পর্যাপ্ত সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। দাম বাড়লে, অনেক কৃষক উৎপাদন খরচ কমাতে আগের চেয়ে কম সার ব্যবহার করবে। এতে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হবে'- মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন, মূল্য না বাড়িয়েই সরকারকে যেকোনো উপায়ে আমদানি বৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
১ আগস্ট কৃষি মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে, চাহিদা অনুযায়ী দেশে সব ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে বলে জানানো হয়।
এক সময় দেশের ইউরিয়া চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ মেটাতো স্থানীয় সার কারখানাগুলো, বর্তমানে যা ৪০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে বলে উল্লেখ করেন জাহাঙ্গীর আলম।
এ বাস্তবতায়, বাংলাদেশকে ইউরিয়া উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে মনোযোগ দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার কৃষক আবদুল মালেক। এক একর জমিতে আমনের চারা রোপণ করেছেন। অন্তত দুবার তাকে এই জমিতে ইউরিয়া সার ছিটাতে হবে–প্রতিবার লাগবে ৫০ কেজি করে।
সার সরবরাহের সংকটের কারণে ওই এলাকায় তারমতো কৃষকদের এখন ৫০ কেজির প্রতিব্যাগ ইউরিয়া সার ৮৫০-৯০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে, যা বর্তমানে সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে ৫০-১০০ টাকা বেশি বলে জানান তিনি। আবদুল মালেক বলেছেন, নতুন দাম কার্যকর হলে প্রতিব্যাগ কিনতে ১,১০০ টাকা পর্যন্ত লাগবে।
আর সরবরাহ সংকট অব্যাহত থাকলে, দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কাও করেন তিনি।
বাংলাদেশ পিলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর অবশ্য বলছেন যে, কৃষিতে ভর্তুকির চাপ কমানোয় আংশিক সমাধান বয়ে আনতে পারে সারের মূল্যবৃদ্ধি।
গত সপ্তাহে তিনি টিবিএসকে বলেছিলেন, 'ডলারের মান যখন কম ছিল, তখন আমরা যে মূল্যে কৃষকদের কাছে সার বিক্রি করতাম- এখনও তাই করছি'। সস্তা সার এর অপচয়কে উৎসাহ যোগাবে এবং মূল্যবান এই কৃষি উপকরণ তার ফলে দেশের বাইরে পাচার শুরু হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চলতি বছরে ইউরিয়া সারের চাহিদার প্রক্ষেপণ রয়েছে ২৬ লাখ টনের। এরমধ্যে সাড়ে ১০ লাখ টন উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে দেশের কারখানাগুলোয়; বাকীটা আমদানি করতে হবে।
গত ২০ জুলাই কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জানান, তার মন্ত্রণালয় অতি-দরকারি ইউরিয়া সার ক্রয়ের বিকল্প উৎস সন্ধান করছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কৃষি-বান্ধব সরকার ২০০৯ সালের পর থেকে চার বার মূল্য কমিয়েছে। এবং বর্তমানে কৃষকের দ্বারে দ্বারে অত্যন্ত কম মূল্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ সার সরবরাহ করছে।
ডি-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সারে ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন থাকে– যা ইউরিয়া সারের প্রধান উপাদান। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের 'অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত' ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ডিএপি সার ১৬ টাকায় কৃষকদের দিচ্ছে।
এই উদ্যোগের ফলে গত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে যেখানে ডিএপি ব্যবহার হত ৮ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ১৬ লাখ টন।
তবে ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়ার ফলে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমার কথা থাকলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। ২০১৯ সালে ইউরিয়া ব্যবহার হত ২৫ লাখ টন; চলতি বছর ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন ব্যবহার হওয়ার প্রাক্কলন করা হয়েছে।
অন্যদিকে,আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম প্রায় ৩-৪ গুণ বেড়েছে। এর ফলে দেশে সারে দেওয়া সরকারের ভর্তুকিও বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ।
২০২০-২১ অর্থবছরে যেখানে ভর্তুকিতে লেগেছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা; সেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে লেগেছে ২৮ হাজার কোটি টাকা।
দেশে সারের মজুদ
চলতি আমন মৌসুমে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশে ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে ৬ লাখ ১৯ হাজার টন। বর্তমান মজুদ ৭ লাখ ২৭ হাজার টন বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
আমন মৌসুমে ট্রিপল সুপার ফসফেট বা টিএসপি সারের চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার টন; আর মজুদ রয়েছে ৩ লাখ ৯ হাজার টন।
দেশে ৬ লাখ ৩৪ হাজার টন ডিএপি এবং ২ লাখ ১০ হাজার টন মিউরিয়েট অব পটাশ (এমওপি) মজুদ রয়েছে, এ দুটির চাহিদা যথাক্রমে- ২ লাখ ২৫ হাজার ও ১ লাখ ৩৭ হাজার টন।
কৃষি মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে সারের চাহিদা নিরূপণ করে। বার্ষিক চাহিদার পাশাপাশি প্রতিবছর আরও সাত লাখ টন বাফার স্টক হিসেবে মজুদে রাখে সরকার। চলতি বছর যা ৮ লাখ টনে উন্নীত করা হয়েছে। মূলত বাজার অস্থিতিশীল হলে তখন বাফার স্টক থেকে সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্য স্থিতিশীল করে সরকার।
কৃষি মন্ত্রণালয় যে ৭ লাখ ২৭ হাজার টন মজুদের কথা বলেছে–তা মূলত বাফার স্টক। অন্য কোনো মজুদ না থাকায় চলতি আমন মৌসুমে সরকারকে এই বাফার স্টক থেকেই সারটি (ইউরিয়া) বিতরণ করতে হবে।
বিষয়টি স্বীকার করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। তবে তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, ইতোমধ্যেই কিছু চালান আসা প্রক্রিয়াধীন থাকায় আগামীতে কোনো ইউরিয়া সংকট দেখা দিবে না।
কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলি জানিয়েছে, চলতি মাসে দেশে প্রায় ২.৫ লাখ টন ইউরিয়া সারের চালান আসবে।
নতুন সার কারখানা প্রকল্প বেগবান হচ্ছে
বিশ্বব্যাপী সার বাজারের সর্বশেষ অস্থিরতা সরকারকে দেশে সারের উৎপাদন বৃদ্ধির আগের উদ্যোগগুলিকে বেগবান করতে উৎসাহিত করেছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন আরও নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী এই উপলদ্ধিও করছে সরকার।
স্থানীয় কারখানায় উৎপাদন খরচ বাড়লেও; আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি যে হারে ঘটেছে, সে তুলনায় এটি অনেক কম। বর্তমানে দেশে এক কেজি ইউরিয়া সারের উৎপাদন খরচ ১৯-২০ টাকা, অন্যদিকে প্রতিকেজির আমদানি খরচ ৫৬-৫৭ টাকা।
শিল্প মন্ত্রণালয় ধারণা করছে, ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কারখানাটি চালু হলে বছরে ইউরিয়া সারে আমদানি নির্ভরতা ৫৯.৬১ শতাংশ থেকে কমে ২৪ শতাংশে নামবে। ফলে আমদানিতে খরচ হওয়া বিপুল অর্থের সাশ্রয় হবে।
শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বর্তমানে ২৬ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে বছরে ১৫.৫ লাখ টন ইউরিয়া সার আমদানি করে।
বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার দরে সরকারকে ইউরিয়া সার আমদানিতে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে বলে জানান তারা।
১০ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পলাশ ইউরিয়া কারখানাটি আগামী ডিসেম্বরে উৎপাদন শুরুর কথা রয়েছে। পরিবেশবান্ধব এই প্ল্যান্টের দৈনিক উৎপাদন সক্ষমতা ২,৮০০ টন। এটি উৎপাদনে গেলে ইউরিয়া সারের বার্ষিক অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দাঁড়াবে ১৯.৭৫ লাখ টনে।
বর্তমানের দেশের বিদ্যমান চারটি সার কারখানার বছরে ১০.৫ লাখ টন ইউরিয়া সার উৎপাদনের মোট সক্ষমতা রয়েছে, যা মোট স্থানীয় চাহিদার ৪০.৩৯ শতাংশ মেটাতে পারে।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্ল্যান্ট চালু করার সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে, গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে পলাশ কারখানা প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্টিয়ারিং কমিটির ১০ম সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, প্রকল্পে দ্রুত গ্যাসের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে প্রকল্পের কাজ শেষ করার পর কারখানাটি সঙ্গে সঙ্গেই উৎপাদনে যেতে পারে।
সভায় গ্যাসের প্রাপ্যতা নিশ্চিতের জন্য তিতাস গ্যাসের এমডির সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) ও প্রকল্প পরিচালককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্টিয়ারিং কমিটির সভার কার্যপত্র থেকে জানা যায়, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই কারখানাটি জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব। পরিবেশ দূষণকারী কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ না করে তা পুনর্ব্যবহার করে ১০ শতাংশ ইউরিয়া সারের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত প্রকল্পটির অগ্রগতি হয়েছে ৬৭ শতাংশ।
গ্যাস সংকটই উদ্বেগের বিষয়
বিসিআইসি-র সূত্রগুলি জানায়, বর্তমানে দেশে চারটি সার উৎপাদক কারখানা থাকলেও, এরমধ্যে দুটি- যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লি. এবং চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লি. সম্প্রতি গ্যাস সংকটের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।
গ্যাস সরবরাহের সমস্যা ছাড়াও, পুরোনো যন্ত্রপাতির কারিগরি সমস্যা সৃষ্টি করে প্রায়ই। যেকারণে কারখানাগুলিতে অনাকাঙ্খিতভাবে উৎপাদন বন্ধের ঘটনাও ঘটছে। সব মিলিয়ে এসব কারখানার মোট বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ২২.৩১ লাখ টন থেকে কমে ১০.৫ লাখ টনে নেমে এসেছে।
কারখানাগুলি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে দেশের কৃষি উৎপাদন সঙ্কটাপন্ন হবে- এজন্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ অতিদ্রুত স্বাভাবিক গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিআইসি-র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, 'পুরাতন কারখানাগুলো ১০ মাস চালু রাখতে পারলেই- আমাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সার উৎপাদন সম্ভব।'
গ্যাসে সংকটে বন্ধ হওয়া দুটি কারখানা দ্রুত চালু করার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান দায়িত্বশীল এই কর্মকর্তা।