চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গঠন করা হবে টাস্কফোর্স

চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বন্দর ভবনে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে এই বৈঠক।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো: ফখরুল আলম সহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম বন্দরের চিফ পারসোনাল অফিসার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন টিবিএসকে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে বন্দর থেকে বিপজ্জনক কার্গো সরানো, নিলামযোগ্য পণ্যের দ্রুত নিলাম, বিএম ডিপোর মতো দুর্ঘটনা কিভাবে এড়ানো যায় এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সভায় চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে ৭ হাজার ৫১১ টিইইউস কন্টেইনার। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর ৫ লাখ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা হারাচ্ছে। এতে বছরে বন্দর প্রায় ১৫০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতে বঞ্চিত হচ্ছে। নিলামযোগ্য কন্টেইনারগুলোর রেন্ট বিবেচনা করলে ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছড়িয়ে যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সভায় অবহিত করে, নিলাম হিস্যা বাবদ চট্টগ্রাম কাস্টমসের কাছে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রায় ১০০ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে ২৭২ কন্টেইনার বিপজ্জনক পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭ কন্টেইনার জরাজীর্ণ ও ১৫ বছরের অধিক পুরোনো।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃক বিপজ্জনক পণ্য জাহাজে থাকা অবস্থায় চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পূর্বেই শুল্কায়ন সমাপ্ত করে আমদনিকারক বরাবরে সরাসরি ডেলিভারি প্রদানের সুপারিশ করে বন্দর।