প্রথমবারের মতো ট্রান্সজেন্ডারদের জনশুমারির আওতায় এনেছে বাংলাদেশ
রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এজন্য প্রথমবারের মতো 'জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২'- এর আওতায় ১২ হাজার ৬২৯ জন ট্রান্সজেন্ডার জনসংখ্যা গণনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এবারই প্রথমবার ডিজিটাল জনশুমারি করেছে, যার প্রাথমিক প্রতিবেদন বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে প্রকাশ করা হয়।
স্বাধীনতার পর দেশে প্রথম জনশুমারি করা হয় ১৯৭৪ সালে। এর পর করা হয়েছিল যথাক্রমে- ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে। তবে স্থানীয়ভাবে 'হিজরা' নামে আখ্যায়িত ট্রান্সজেন্ডারদের এর আগে কখনো জনশুমারির আওতায় আনা হয়নি।
সাম্প্রতিকতম জনশুমারি অনুসারে, ঢাকা বিভাগে ট্রান্সজেন্ডার সবচেয়ে বেশি- ৪ হাজার ৫৭৭ জন। আর সিলেটে সবচেয়ে কম- ৮৪০ জন।
অন্যান্য বিভাগের মধ্যে, চট্টগ্রামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২,০২৬ জন ট্রান্সজেন্ডার রয়েছেন। এর পরে রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৭৪ জন, খুলনায় ১ হাজার ১৪৮ জন, রংপুরে ৯২৯ জন, ময়মনসিংহে ৯৭২ জন এবং বরিশালে ৫৬৩ জন বসবাস করেন।
বিবিএসের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ, যার মধ্যে ৮ কোটি ১৭ লাখ পুরুষ ও নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ।
গত ১৫ জুন দেশে জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু হয়। ২১ জুলাই শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার কারণে দুর্গত জেলাগুলোয় ২৮ জুন পর্যন্ত সমীক্ষার কাজ চলে।