ময়মনসিংহ সড়ক দুর্ঘটনা: ট্রাক চালকের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না
শনিবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে স্বামী ও মেয়েসহ এক গর্ভবতী নারীকে হত্যাকারী ট্রাক চালকের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না, জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, "ট্রাক চালক মো. রাজু আহমেদ ওরফে শিপনের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। এছাড়া দুর্ঘটনার সময় ট্রাকের ওজন ছিল ১৩.৫ টন। যদিও ট্রাকটির বহন ক্ষমতা ছিল ৭ টন।"
র্যাব আরও জানায়, ট্রাকের ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) সাভার থেকে রাজু আহমেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
"দুর্ঘটনার পর পথচারীরা ট্রাক থামায়। এ সময় চালক রাজু ঢাকাগামী একটি বাসে উঠে পড়ে। সে বাসে করে ময়মনসিংহ বাইপাসে যায়; সেখান থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় প্রথমে মুক্তাগাছা এবং পরে আরেকটি বাসে করে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা যায়। সেখান থেকে তার পরিচিত বিভিন্ন ট্রাক চালকের সহায়তায় আত্মগোপনে চলে যায়। গতকাল এমন একটি ট্রাক সাভারে পৌঁছালে সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়," বলেন র্যাব কর্মকর্তা।
শনিবার (১৬ জুলাই) ত্রিশাল উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ট্রাকের ধাক্কায় এক দম্পতি ও তাদের ছয় বছরের মেয়ে নিহত হন।
নিহতরা হলেন ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি এলাকার জাহাঙ্গীর আলম (৪২), তার স্ত্রী রত্না বেগম (৩২) ও তাদের ছয় বছরের মেয়ে সানজিদা আক্তার।
মৃত্যুর মুহূর্তে সড়কেই গর্ভবতী মা রত্না একটি নবজাতক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
শিশুটির কান্না শুনে পথচারীরা বুঝতে পারে যে সে এখনও বেঁচে আছে। তাকে দ্রুত ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখান থেকে তাকে ময়মনসিংহ সিবিএমসিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা যায়, তার একটি বাহুতে ফাটল রয়েছে।