লাউয়াছড়ায় বন আইন লঙ্ঘন করে এনার্জি ড্রিংকসের শুটিং, কর্মকর্তা জেলে
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে আইন লঙ্ঘন করে এনার্জি ড্রিংকসের বিজ্ঞাপনের শুটিং করায় একজনকে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার বিকেলে মৌলভীবাজার বন আদলতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: সাইফুর রহমান শুটিং ইউনিটের কর্মকর্তা এবিএম রিন্টুর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রিন্টু প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রোডাকশন হাউজের লাইন প্রডিউসার বলে জানা গেছে।
তবে প্রাণ-আরএফএলের জনসংযোগ কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, রিন্টু তাদের কর্মী নন। এব্যাপারে আর মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এর আগে, বন বিভাগের আইন লঙ্ঘন করে লাউয়াছড়া উদ্যানের ভেতর জেনারেটর ব্যবহার ও উচ্চ ক্ষমতার লাইট জ্বালিয়ে শুটিং করার অভিযোগ এনে গত জুনে রিন্টুর বিরুদ্ধে মামলা করে বন বিভাগ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুন প্রাণ প্রোডাকশন হাউজ একটি এনার্জি ড্রিংকসের বিজ্ঞাপন তৈরির জন্য লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে আগুন জ্বালিয়ে ধোঁয়া সৃষ্টি করে এবং বড় বড় দুটি জেনারেটর চালিয়ে বনের ভেতর আলোকিত করে শুটিং কার্যক্রম চালায়। একইসাথে, তারা সেখানে অবস্থান করে রান্নাবান্না শুরু করলে লাউয়াছড়ায় দায়িত্বরত বন বিভাগের কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। পরে রাতেও অননুমোদিতভাবে বনের ভেতরে জেনারটর ও শুটিং সরঞ্জাম রাখার কারণে বন বিভাগ তাদের মালামাল জব্দ করে মৌলভীবাজার বন আদালতে মামলা করে।
বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, 'আইন অমান্য করায় মামলা হয়েছে। মামলায় জামিনের শুনানি ছিল রোববার। আদালত শুনানি শেষে আসামির জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন'।
বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন-সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র বলেন, 'এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা ও কয়েকজন কর্মচারির বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে'।