ঢাকা যাত্রা: মইযোগে ট্রেনের ছাদে জায়গা পেতে দিতে হয় ২০, ৩০ কিংবা ৫০ টাকা

চিত্রা এক্সপ্রেস খুলনা থেকে ঢাকা ছেড়ে আসে সকাল ৯টায়। প্রথম থামে নওয়াপাড়া, তারপর যশোর, তারপর মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, দর্শনা, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা হয়ে আসে পোড়াদহ।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের আরিফুল ইসলাম মিঠু বাড়িতে ঈদ কাটিয়ে আজ শনিবার (১৬ জুলাই) পাবনার ঈশ্বরদী থেকে উঠে বসেন চিত্রায়। ঈদ ফেরতা মানুষের ভিড়ে ট্রেনে দাঁড়ানোর জায়গাও বেশি নেই।
মিঠু একরকম ঠেলেঠুলে উঠে জায়গা করে নিলেন এক কোণে। চিত্রা আবার ছেড়ে চাটমোহরে ভিড়তেই মিঠু দেখলেন মানুষ ছাদেও উঠতে শুরু করেছে। তারপর বড়াল ব্রীজ আর উল্লাপাড়া ছাড়িয়ে যখন সিরাজগঞ্জ সদরের কড্ডার মোড়ে শহীদ মনসুর আলী স্টেশনে এলো চিত্রা, তখনই মিঠু দেখলেন- এই অবাক করা দৃশ্যটি। ভিড়ের মৌসুমে যা স্বাভাবিক ঘটনা। মইয়ে চড়ে লোক উঠছে ট্রেনের ছাদে। একটি-দুটি নয় অনেক কয়টি মই একসঙ্গেই চোখে পড়ে এসময়, ট্রেনের ছাদে ঠেকা দেওয়া।
পিতা-পুত্র যেমন ভাই-বোন, মাতা-কন্যা, বন্ধু-বান্ধবীদেরও দেখা যায় মই-চড়া দলে। মিঠু জানালেন, মই ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব মূলত স্বেচ্ছায় কাঁধে তুলে নেয় স্থানীয় জোয়ানরা (ছেলে-ছোকরার দল) বিনিময়ে তারা ২০, ৩০ বা ৫০ টাকা নিয়ে থাকে। তখন সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী দেখেও না দেখার ভূমিকা পালন করে।
মিঠু ছবিটি তুলেছেন ৩.২০ মিনিটে। ট্রেনের ভিতর থেকে ছবিটি তুলেছেন তিনি। প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ট্রেনের বাইরে থেকে ছবি তোলার কোনো সুযোগ পাননি ভিড়ের চাপে। তার সঙ্গে যখন (বিকাল ৪.৪৫মি) এই প্রতিবেদকের ফোনে কথা হচ্ছিল তখন চিত্রা ছিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে।