অধ্যাপক রতন সিদ্দিকীর বাসায় হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ
রাজধানীর উত্তরায় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার ও গবেষক অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকীর বাসায় হামলার ঘটনা কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা যায়, রতন সিদ্দিকীর বাসায় হামলার ঘটনায় মামলা হলেও বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে আমলে নেয়া হয়নি। ঘটনার একদিন পার হয়েছে তবে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। এমনকী অভিযুক্তদের শনাক্তে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনাসহ তদন্তের অন্যান্য প্রাথমিক কাজই সম্পন্ন করা হয়নি।
জানতে চাইলে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস টিবিএসকে বলেন, আমরা এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি। তবে আমাদের তদন্তের কার্যক্রম চলছে, খুব দ্রুতই অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পারবো।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার দুপুরে উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের বাড়িতে ড. রতন সিদ্দিকী স্ত্রীকে নিয়ে ফিরছিলেন। সে সময় তার বাসার সামনে রাখা একটি মোটরসাইকেলের জন্য তার গাড়িটি সরাসরি ভবনে প্রবেশ করতে পারছিল না। মোটরসাইকেলটি সরানোর জন্য ড. সিদ্দিকীর গাড়িচালক হর্ন দেন এবং পরে গাড়ি থেকে নেমে মোটরসাইকেলের মালিককে খোঁজেন।
সে সময় তার বাসার পাশের মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে লোকজন বের হচ্ছিলেন। তাদের একটি অংশ সেখানে এসে হর্ন দেওয়া নিয়ে প্রথমে ড. সিদ্দিকীর গাড়িচালক ও পরে তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা ড. রতন সিদ্দিকীর বাসার গেটে ভাঙচুর চালান ও তার ওপর হামলার চেষ্টা করে।
পরে রতন সিদ্দিকীর স্ত্রী বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন। এতে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামী করা হয়।
প্রসঙ্গত, ড. রতন সিদ্দিকী জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নাটকে অবদান রাখায় ২০২০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেছেন এই অধ্যাপক। তার স্ত্রী ফাহমিদা হক কলিও একজন লেখক ও নাট্যব্যক্তিত্ব।