সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে
সরবরাহ ভালো থাকায় ঢাকার কাঁচাবাজারে সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে।
তবে চাল, মসুর, আটা এবং গরুর মাংসের দাম আগের মতোই আছে, রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াটোলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে।
সব সবজির দাম গড়ে কেজিতে ৫-১০ টাকা কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০-১৫ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম।
তবে টমেটোর দাম বেড়েছে কেজিতে ৮০ টাকা। কেজিপ্রতি ১০০-১২০ টাকায় গাজর বিক্রি হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের এই উর্ধগতির সময় সবজি ও মুরগির দাম কিছুটা কমে আসা স্বস্তি দিচ্ছে ক্রেতাদের।
দাম বাড়ার পর গত এক সপ্তাহে কমেনি চাল-ডাল-আটা ও গরুর মাংস।
কারওয়ান বাজারে এক সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। পাকিস্তানি কক মুরগির কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়, যেটা গত সপ্তাহে ছিল ২৮০ টাকা।
মগবাজারের প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৪৫-১৫০ টাকা যেটা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০-১৫৫ টাকা।
কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোহম্মদ মনির বলেন, ঈদ উল আযহার এই সময় ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কম থাকে। তাই এ সময় দাম কম হয়।
কারওয়ান বাজারে কথা হয় জয়তুন বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, "মুরগির দাম ও সবজির দাম কম থাকায় কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে। তবে এগুলো রান্না করতে তেল প্রয়োজন সেটা তো কমছে না। এখনও সয়াবিন তেল কেজি ২০০ টাকা কেজি। আয়ের সঙ্গে ব্যয় সমন্বয় করে চলতে আমাদের কষ্ট হয়।"
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙে, চিচিঙ্গার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০- ৪০ টাকা। যেটা গত সপ্তাহে ছিল ৪০- ৫০ টাকা।
মগবাজারে সবজি বিক্রেতা মোহম্মদ আক্কাস বলেন, "বেশিরভাগ সবজির দাম এখন কেজিপ্রতি ৪০ টাকার মধ্যে। তবে টমেটোর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৮০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।"
বিক্রেতারা বলছেন ভারত থেকে টমেটো আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে।
গত ১৫ দিন ধরে পেঁয়াজের দাম ধাপে ধাপে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। এখন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গত এক সপ্তাহ ধরে খুচরা বাজারে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ।
অন্যদিকে, আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। আদা ১০০ টাকা, চায়না রসুন ১১০ টাকা, দেশি রসুন ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।