‘সর্বাত্মক’ লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে দেশ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলমান সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজ।
দ্বিতীয় দিনে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানাগুলো খোলা রাখা হবে।
এছাড়াও আর্থিক লেনদেনের সুবিধার্থে ব্যাংকের কার্যক্রম চলবে সকাল দশটা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। তবে, লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখতে পারবে।
'মুভমেন্ট পাস' ছাড়া কাউকেই অকারণে চলাফেরা করতে দেয়া হবে না। একদিন আগে অ্যাপটি চালু হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত মুভমেন্ট পাস দেয়া হয়েছে আড়াই লাখ মানুষকে।
এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলাকালে অতি জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হবেন যারা, তাদের জন্য মুভমেন্ট পাসের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। এটি ছাড়া বের হওয়ার কোন অনুমতি নেই। চেকপোস্টগুলোতে নিজ নিজ মুভমেন্ট পাস দেখাতে না পারলে মানুষকে ঘরে ফেরত পাঠানো হবে।
বুধবার লকডাউনের প্রথম দিন রাজধানীর পথঘাট ছিল নির্জন, বিভিন্ন সড়কে ছিল পুলিশের চেকপোস্ট। যারা লকডাউন নিয়ম লঙ্ঘন করে বেরিয়ে আসে, তাদের জরিমানা করা হয়। এদিন নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম দেখা গেছে, দোকানগুলো আধ-খোলা অবস্থায় বিক্রিবাট্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।
এদিন ভোর থেকেই পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত।
উল্লেখ্য, মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বাড়তে শুরু করে। ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ১৪-২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর লকডাউন বিধি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে বাংলাদেশে আরও ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে; মহামারি শুরুর পর থেকে যা একদিনে সর্বোচ্চ। গত এক বছরেরও বেশি সময়জুড়ে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ৯ হাজার ৯৮৭ জনের।
মারাত্মক সংক্রামক এই ভাইরাসটি গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে দেশের আরও ৫ হাজার ১৮৫ জনের দেহে। মহামারি শুরুর পর থেকে সব মিলিয়ে এই শনাক্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭ লাখ ৩ হাজার ১৭০ এ।