‘আত্মঘাতী’ সিদ্ধান্ত নেবেন না: বাবুনগরী
'প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ জানানো জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। সেই অধিকার হরণ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় না। বিদেশি আধিপত্যবাদী শক্তির প্ররোচনায় কোনো ধরনের আত্মঘাতী ও হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকতে সরকারকে আহ্বান করছি,' বলেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
এ সময় তিনি হেফাজত মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদীসহ ১৭ জন নেতার বিরুদ্ধে 'ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা' অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিও জানান।
বৃহস্পতিবার দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। বিবৃতিতে হেফাজত আমির এসব কথা বলেন ও দাবি জানান।
বিবৃতিতে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, 'হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন। কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানো কিংবা কাউকে ক্ষমতায় বসানো হেফাজতের কাজ নয়। আমরা শান্তিপ্রিয় এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে। কিন্তু হামলা-মামলা ও দমন-পীড়ন চালিয়ে কখনোই সহিংসতা রোধ করা সম্ভব নয়।'
তিনি বলেন, 'বিগত ২৬ মার্চ শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নিরীহ শান্তিপ্রিয় মুসল্লিদের ওপর পুলিশের সহযোগী হেলমেট পরিহিত ও চাপাতি-রামদা হাতে একদল সন্ত্রাসী বিনা উসকানিতে আক্রমণ চালায়। পাশাপাশি পুলিশও মুসল্লিদের ওপর গুলি চালায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মুসল্লিরা আত্মরক্ষার্থে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলে।'
'সেদিনের সংঘাতের ভিডিওগুলোতে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে কারা সহিংসতা উসকে দিয়েছিল। সারা দেশের মানুষ ওই ভিডিওগুলো দেখেছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও সেদিনের ঘটনা কভারেজ পেয়েছিল,' যোগ করেন বাবুনগরী।
হেফাজত আমির বলেন, 'সেদিন হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচী ছিল না। সুতরাং, নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেফাজতের ১৭ জন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। অবিলম্বে এসব ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই। অন্যথায় আলেম-ওলামার সাথে বাড়বাড়ির কারণে সরকার নিঃসন্দেহে জনগণের কাছে আরও ঘৃণিত ও নিন্দিত হবে।'
এদিকে হেফাজত আমিরে এই বিবৃতি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার সকালে হাটহাজারী থানায় হামলার ঘটনায় দায়ের মামলায় চার হেফাজত কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।