২৫ মে থেকে সিনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকাদান শুরু
দেশে আগামী ২৫ মে থেকে চীনা সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকাদান শুরু হবে।
আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, "আমরা রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভ্যাকসিনের ব্যাপারে কথা বলেছি, কিছু আলোচনায় ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।
"যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তাদের টিকাদান সম্পন্নের জন্য সে পরিমাণ ডোজ কেনার ব্যাপারে ভারত ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কথা বলেছি। ভারত থেকে ৩ কোটি ডোজের অর্ডার দিলেও মাত্র ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছি আমরা,"
গত ১২ মে চীনা সরকারের উপহারস্বরূপ পাঠানো সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের ৫ লাখ ডোজের একটি চালান ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম জানান, মেডিক্যাল ও নার্সিংয়ের শিক্ষার্থী ও কোভিড-১৯ রোগীদের সরাসরি সংস্পর্শে কর্মরত মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য এই ডোজগুলো ব্যবহার করা হবে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে বেশ ভালোভাবেই কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে ৪০ বছর ও ততোর্ধদের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দিয়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। ১২ দিনের দেশের ১ শতাংশের বেশি জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি টিকাদানের ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে ২৪ তম অবস্থানে আসে বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অবস্থান দ্বিতীয়।
গত ৮ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান শুরু হয়। প্রথম ডোজ পাওয়া ব্যক্তিদের মাত্র ১৩ শতাংশ ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন।
তবে ভারতে মহামারির সেকেন্ড ওয়েভের প্রভাবে ভ্যাকসিনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ফলে দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউ থেকে বাকি ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা যায়। ফলে টিকাদান কর্মসূচিতেও এর প্রভাব পড়ে।
দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিস্থিতিতে সরকার ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের জন্য ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করলেও, কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ থাকা সাপেক্ষে অনেক বাংলাদেশিকে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে সীমান্ত বন্ধ থাকার মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়।
বিগত সপ্তাহগুলোতে ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিপজ্জনক হারে বেড়েছে। প্রতিদিনই দেশটিতে রেকর্ড সংখ্যক রোগী শনাক্ত হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন।
দেশটিতে করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভের আঘাতে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন, বেশ ও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। হাসপাতালে ফাঁকা শয্যার অভাবে অনেক রোগীকেই ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।