১৭ দিন পর ফরিদপুরে ধরা পড়ল সেই কুমির

ফরিদপুর সদর উপজেলার জলাধারে আটকে পড়া মিঠা পানির কুমিরটি ১৭ দিন পরে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েছে। সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেলে কুমিরটি আটক করে ফরিদপুর সদরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দারা। এর আগে কুমিরটি উদ্ধারে বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ দুই দফা অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। বিরল প্রজাতির কুমিরটির আনুমানিক দৈর্ঘ্য সাড়ে সাত ফুট এবং ওজন প্রায় ৮০ কেজি। কুমিরটি ধরা পড়ায় চরবাসীর আতঙ্কের অবসান হলো। এত দিন তারা আতঙ্কের মধ্য দিয়ে সময় পার করছিলেন।
জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই সকালে ওই জলাধারে একটি কুমির দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। এরপর ওই এলাকায় মাইকিং করে জলাধারে না নামার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।
কুমিরটি উদ্ধারের জন্য গত ২৮ ও ৩০ জুলাই বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের উদ্যোগে দুই দফা অভিযান পরিচালিত হয়। কিন্তু প্রথম দফায় জাল ছোট থাকায় এবং দ্বিতীয়বার কুমিরটি জালে আটকা পড়লেও জাল ছিঁড়ে বের হওয়ায় সেটি আর ধরা সম্ভব হয়নি।

ফরিদপুরের সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নে ছালামখাঁর ডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা নদী সংলগ্ন ফালুর কুম নামে পরিচিত ওই জলাশয়ে এসে অবস্থান নেয় মিঠা পানির ওই কুমির।
সোমবার বৃষ্টি হওয়ায় কুমিরটি জলাধার থেকে পাড়ে উঠে আসে। ওই সময় বিষয়টি টের পেয়ে এলাকাবাসী সবাই মিলে মাছ ধরার বড় জাল দিয়ে কুমিরটিকে আটক করে।
আরও পড়ুন- ফরিদপুরে কুমিরের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে চরের বাসিন্দারা
ফরিদপুর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারি জানান, কুমিরটি এলাকাবাসীর হাতে আটক হওয়ার খবর পেয়েছেন তিনি। কুমিরটির দায়িত্ব এখন বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের। তারাই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল জানান, কুমিরটি নিয়ে আসার জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। কুমিরটি মিঠা পানির এবং বিরল প্রজাতির। এটি গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।