হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় জাফরুল্লাহ চৌধুরীও দুষলেন পুলিশকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও পুলিশকে দুষেছেন।
শনিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে হেফাজত তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে আসেন তিনি। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এর আগে হেফাজত তাণ্ডবের জন্য প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা।
জাফরুল্লাহর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রেস ক্লাবে এলে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন হামলা-ভাঙচুরের বর্ণনা দেন। এরপর প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি তার ওপর করা হেফাজত কর্মী-সমর্থকদের হামলার বিষয়টি তুলে ধরেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, "আমার কাছে সবচেয়ে আশ্চর্য লাগছে, পুলিশের এতো গাড়ি পোড়াচ্ছে- ওনারা ঘুমাচ্ছেন মনে হয়। আজকে আমি শহরে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ঢোকার আগেই তারা (পুলিশ) খোঁজ নিচ্ছে আমি কোথায় যাব-না যাব। এতোটা সচেতন আছে পুলিশ। সেই পুলিশ কীভাবে এতোবড় ঘটনার খবর জানলোনা।"
তিনি বলেন, "মোকতাদির চৌধুরী সরাসরি পুলিশকে ব্লেইম করেছেন। এই মুহূর্তে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাইনা। শুধু দুঃখ প্রকাশ করতে পারি। প্রেস ক্লাব অত্যন্ত পবিত্র একটা জায়গা। প্রেস ক্লাবে আক্রমণ করা আর মসজিদে আক্রমণ করা একই মনে করি। সাংবাদিকদের কাজ হলো সত্য তুলে ধরা, আপনারা অনেক জায়গায় সেটি করে যাচ্ছেন।"
এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সাথে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম ও প্রেসিডিয়াম সদস্য নাঈম জাহাঙ্গীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ ও ব্যরিস্টার সাদিয়া আরমানসহ প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।