সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ বিস্ফোরণে নিহত ১, দগ্ধ ৭
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার জাহাজ বিস্ফোরণে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া আটটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী পদ্মা অয়েল কোম্পানির দক্ষিণপাড়ে সাগর নন্দিনী-৩ নামের ওই জাহাজটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, বিস্ফোরণে নিহত ওই ব্যক্তির নাম মো. কামরুজ্জামান (৪৫)। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ এবং তিনি ওই জাহাজে সুকানির কাজ করতেন। দুর্ঘটনায় তিনি ছাড়াও জাহাজের আরও ৭ কর্মী আগুনে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। আহতরা বর্তমানে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত ব্যক্তিদের একজন, রুবেল হোসেন জানান, শুক্রবার সকালে জাহাজের ইঞ্জিনঘরের জেনারেটর চালু করতে গিয়ে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ধরে যায়। ফলে জাহাজে অবস্থানরত বেশিরভাগ কর্মীই আগুনে পুড়ে যান। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. কামরুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রথম আলো সূত্রে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর সাগর নন্দিনী-৩ নামক জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানি তেল বোঝাই করে কোম্পানির ডিপোতে আসে। ডিপোতে পেট্রল খালাস করার পর ডিজেল খালাস করার জন্য জাহাজটি সুগন্ধা নদীতে অবস্থান করছিল। এ সময় জাহাজটিতে ১৩ জন কর্মী ছিলেন।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর শুনে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী, পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিনসহ পদ্মা অয়েল কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দগ্ধ জাহাজটি পরিদর্শন করেন।
জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, আজ সকালে জাহাজের ইঞ্জিনঘরের জেনারেটর চালু করতে গিয়ে বিকট শব্দে আগুন লাগে। আগুন দ্রুত পুরো জাহাজে ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পর জাহাজের তলা ফেটে যাওয়ায় জাহাজটি ক্রমেই নদীতে ডুবে যেতে থাকে। জানা গেছে, বিস্ফোরণের সময় ওই জাহাজটিতে সাড়ে আট লাখ লিটার ডিজেল ছিল।