সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিবের জয়
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। ৬৫ হাজার ৩১২ ভোটের ব্যবধানে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।
শনিবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাবিব পান ৯০ হাজার ৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক পান ২৪ হাজার ৭৫২ ভোট।
ভোট গণনা শেষে রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমাদুল ইসলাম এ ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি হাবিবুর রহমান হাবিবকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
এই নির্বাচনের অন্য দুই প্রার্থী বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চোধরী ৫১৩৫ ভোট ও স্বতন্ত্র পার্থী জুনায়েদ মুহাম্মদ মিয়া পান ৬৪০ ভোট।
বিজয়ের পর শনিবাত রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তাতক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হাবিবুর রহমান হাবিব ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জনগণের আশ্বাসের প্রতিদান দেওয়ার কথা বলেন।
পরাজয় মেনে নিয়ে আতিকুর রহমান আতিক বিজয়ী প্রার্থী হাবিবকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এর আগে, সকাল থেকে সিলেট-৩ আসনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। বেশিরভাগ কেন্দ্রে গিয়েই ভোটার দেখা যায়নি।
তবে ছোটখাটো কিছু অভিযোগ ছাড়া কোনো প্রার্থীর পক্ষ থেকেই নির্বাচন নিয়ে বড় ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
সিলেটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী এমদাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট প্রয়োগ হয়েছে।
ভোটার উপস্থিতি কম হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমরা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছি। কোথাও কোনো গোলযোগ হয়নি। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। তারপরও কেন মানুষ ভোটে আসেননি, তা বলতে পারব না।'
এদিকে, সকালে কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটই দিতে পারেননি জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক। ইভিএমে জটিলতার কারণে ভোট দিতে পারেননি তিনি।
পরে দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে রেবতি রমণ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন আতিক।
এবারই প্রথম সিলেটের এই আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। ভিড় না থাকায় ও মেশিনে ভোট হওয়ায় কম সময়েই ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভোটাররা।
মোগলবাজারে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন বলেন, 'খুবই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। কোথাও কোনো ঝামেলা হয়নি।'
নির্বাচন কমিশনের হিসাবে তিন উপজেলায় ভোটার ৩ লাখ ৪৯ হাজার আর কেন্দ্র রয়েছে ১৪৯টি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরের ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। এরপর ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ২৮ জুলাই এ আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে তা পিছিয়ে যায়।