সিলেটে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ১১৫ জন
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ১১১ জন। শুক্রবার একদিনেই তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৬ জনে। এই একদিনেই শনাক্ত হয়েছেন ১১৫ জন। এর মধ্যে ঢাকার ল্যাবে ৯৯ জন ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে শনাক্ত হন ১৬ জন।
এমনিতে ওসমানী মেডিকেল কলেজে প্রতিদিন গড়ে ১৫০টি নমুনা পরীক্ষা হয়। শুক্রবার ঢাকা ও সিলেট মিলিয়ে পরীক্ষা হয় ১০৭০টি। এতে ১১৫টি পজেটিভ আসে। ফলে পরীক্ষা বাড়ার সঙ্গে সাঙ্গে বেড়েছে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যাও।
স্বাস্থ্য অধিপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, শুক্রবার দিনটি আমাদের জন্য বিরাট দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছে। এতোসংখ্যক রোগীর শনাক্ত হওয়া প্রমাণ করছে এই বিভাগেও ভাইরাসটি কমিটিনিটি পর্যায়ে শনাক্ত হয়ে গেছে। এখন আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। আর সাবধান থাকতে হবে।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে শুক্রবার ১৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ১৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। একইদিনে ঢাকায় ল্যাবে পরীক্ষায় সিলেট বিভাগের আরও ৯৯ জন রোগী শনাক্ত হন।
সব মিলিয়ে সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২২৬ জন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা যায়, কলেজের পিসিআর ল্যাবে অনেকগুলো নমুনা জমা হওয়ায় দ্রুত পরীক্ষার জন্য গত ২৮ এপ্রিল ৬৬৭টি নমুনা ঢাকায় ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি এন্ড রেফারেল সেন্টারে প্রেরণ করা হয়। শুক্রবার সেখান থেকে রিপোর্ট আসে। রিপোর্টে ৭৮ জন পজিটিভ পাওয়া যায়।
এছাড়া সিলেট বিভাগের অন্য তিন জেলা থেকে আরও প্রায় ৪০০টি নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়। এসব নমুনা পরীক্ষায় আরও ২১ জনের পজেটিভ ধরা পড়ে। ফলে ঢাকা থেকেই একদিনে শনাক্ত হন ১১৫ জন।
এদিকে, ঢাকায় ল্যাবে পরীক্ষায় শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে হবিগঞ্জের আরও ১২ জন রয়েছেন। নতুন শনাক্তদের মধ্যে বানিয়াচংয়ে ১ জন, বাহুবলে ১ জন, চুনারুঘাটে ১ জন, মাধবপুরে ৩ জন, নবীগঞ্জে ৫ জন ও সদরে ১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১০ জন ও নারী ২ জন। আক্রান্তদের বয়স ১৪ থেকে ৫১ বছরের মধ্যে।
আর ওসমানীর ল্যাবে পরীক্ষায় শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে হবিগঞ্জে আরো ৬ জন পজিটিভ সনাক্ত। এরমধ্যে লাখাইয়ে ১ জন, নবীগঞ্জে ১ জন, সদরে ৪ জন রয়েছেন।
এ নিয়ে সিলেট জেলায় মোট সনাক্ত ৭২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন একজন।