সাত জেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় ৬ জনের মৃত্যু, আহত অনেকে
বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিরোধী প্রার্থীদের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পাঁচ কর্মী ও একজন জনৈক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এছাড়াও সংঘর্ষে আহত হয়েছে আরও অনেকে।
এদের মধ্যে নরসিংদীতে তিনজন, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে একজন করে নিহত হন।
নিহতরা হলেন নরসিংদীর রায়পুর উপজেলার সালাহ উদ্দিন মিয়াহ (৪৫), জাহাঙ্গীর হক (২৬), দুলাল মিয়া (৩০), চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার মোহাম্মদ শফি (৫৫), কক্সবাজারের খুরুশকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা আখতারুজ্জামান পুতু (৩৮) এবং কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মানিকের চর ইউনিয়নের শাওন আহমেদ (২৫)।
রায়পুর থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, সকাল ৭টার দিকে দুলাল মিয়াহ বাঁশগাড়ি ইউপি কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেইনের সমর্থকদের গুলিতে নিহত হন।
মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাকে মাছ ধরার বর্শা দিয়েও আঘাত করা হয় বলে জানান ওসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, কক্সবাজারে দুই মেম্বার প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে আখতারুজ্জামান পুতুর মৃত্যু হয়েছে।
খুরুশকুল ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নুরুল আমিন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "১ নং ওয়ার্ডের দুই মেম্বার প্রার্থী শেখ কামাল ও আবু বক্কর ছিদ্দিকের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে শেখ কামালের কর্মী পুতু মারা গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ৬ থেকে ৭ জন।"
কুমিল্লায় পুলিশ ও বহিরাগতদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর শাওন আহমেদ নামের একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সালাউদ্দীন মোল্লাহ। এছাড়া ইয়াশ মিয়া এবং নাজমুল নামের দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন।
আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মফিজুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেলা ১২টার দিকে কয়েকজন বহিরাগত কেন্দ্রে ঢুকলে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়।
ঘটনায় পুলিশ মানিকচর মসজিদের ইমাম নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে। বহিরাগতরা ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট দিচ্ছে বলে মসজিদের মাইক্রোফোনে ঘোষণা দিয়ে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় একই উপজেলার ছালিয়াভাঙা ইউনিয়নের রামপ্রসাদেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকা প্রতীক আবদুল লতিফ এবং আনারস প্রতীকের হুমায়ুন কবিরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন।
মেঘনা থানার ওসি আবদুল মজিস জানান, সংঘর্ষের জন্য আধঘণ্টা ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।